পিবিএ,ঢাকা: ডিএমপির খিলগাঁও থানা এলাকা থেকে ১১ বছরের অপহৃত শিশু ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী তরিকুল ইসলাম’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২।
বিগত ২০২১ সালের ৩০ জুন ১১ বছরের একটি কন্যা শিশু তার বাসার সামনে খেলাধুলা করার সময় জনৈক তরিকুল ইসলাম(২৭) অপহরণ করে নিয়ে যায়। শিশুটির পরিবার অনেক খোঁজা-খুঁজি করে কন্যা শিশুটিকে না পাওয়া গেলে পরবর্তীতে জানতে পারেন যে, তরিকুল ইসলাম তাদের মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। শিশুটির পরিবার বাদী হয়ে তরিকুল ইসলাম সহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ডিএমপির গুলশান থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। গুলশান থানার মামলা নং-৩, তারিখ ০১/০৭/২০২১ইং, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সং/২০০৩) এর ৭/৩০।
পরবর্তীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় ভিকটিম শিশুটিকে গাজীপুর এলাকা থেকে উদ্ধার ও আসামী তরিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। উক্ত মামলায় আসামী তরিকুল ইসলাম ১৬ মাস কারাবাস করার পর জামিনে মুক্ত হয়ে নিয়মিত আদালতে হাজিরা না দিয়ে পলাতক হয়।
অন্য দিকে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আসামীর বিরুদ্ধে অপহরণসহ ডাক্তারী পরিক্ষার মাধ্যমে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়ায় বিজ্ঞ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সং/২০০৩) এর ৯(১)/৭ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
পরবর্তীতে মামলাটির দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে ঘটনার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামী তরিকুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান পূর্বক গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন। গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু হওয়ার পর থেকে আসামী দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপন করে রয়েছে মর্মে তথ্যের ভিত্তিতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী তরিকুল ইসলাম’কে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল গতকাল ৩১ মে ঢাকার খিলগাঁও থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী তরিকুল ইসলাম(২৭)-কে গ্রেফতার করে। আসামীকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে উল্লিখিত মামলার সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও জানায় যে, গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু হওয়ার পর হতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট থেকে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপনে থাকত। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই বাছাই করে র্যাব-২ এধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।