পিবিএ,ঢাকা: বিগত ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রোয়া গ্রামের মেজবাবুল ইসলামের ছেলে ভিকটিম শিশু রাফসান সামী(৩)’কে তার বাড়ি থেকে অপহরণ করার পর মুক্তিপণ দাবি করে। পরবর্তীতে মুক্তিপণ না পেয়ে অপহরণকারীরা ভিকটিম রাফসান সামী’কে গলাটিপে হত্যা করে লাশ মাটিচাপা দিয়ে গুম করে। ঘটনার একদিন পর স্থানীয় থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। বর্ণিত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা মেজবাবুল ইসলাম বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মফিদুল ইসলাম(৪০)-সহ আরও ২ জনকে আসামী করে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
উক্ত মামলার আসামীরা হত্যার দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা অনুযায়ী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। পরবর্তীতে বর্ণিত হত্যা মামলার তদন্তকারী অফিসার দীর্ঘ তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অতঃপর গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মফিদুল ইসলাম ৪৬ মাস কারাবাস ভোগ করার পর নিয়মিত হাজিরা দেওয়ার শর্তে মুচলেকা নিয়ে বিজ্ঞ আদালত তাকে জামিন দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে উক্ত আসামী বিজ্ঞ আদালতে হাজিরা না দিয়ে পলাতক থাকে। ধৃত আসামী পলাতক থাকাবস্থায় বিজ্ঞ আদালত উক্ত মামলাটির দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন। গ্রেফতারকৃত আসামী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থাকে। সর্বশেষ সে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন চন্দ্রা এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় গার্মেন্টসকর্মী হিসাবে কাজ করে বলে জানা যায়। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোঃ মফিদুল ইসলাম’কে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-২ এর একটি অভিযানিক দল প্রয়োজনীয় কার্যক্রম অব্যাহত রাখে।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গতকাল (৯ মে) বিকেলে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন চন্দ্রা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যাকাণ্ডের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোঃ মফিদুল ইসলাম (৪০)-কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মফিদুল ইসলাম বর্ণিত শিশু ভিকটিম রাফসান সামি(৩)’কে অপহরণ করতঃ হত্যাকান্ডের সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করে।
ভবিষ্যতে র্যাব-২ এই ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।