![](https://www.pba.agency/wp-content/uploads/2024/11/PBA_Adani-Power-Plant.gif)
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) অনুরোধে পূর্ণমাত্রায় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্মত হয়েছে আদানি পাওয়ার। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এই সরবরাহ পুনরায় শুরু হবে।
এর আগে শীতের চাহিদা কম থাকা এবং ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে পেমেন্ট বিলম্ব হওয়ায়, আদানির কাছে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনার অনুরোধ করেছিল বাংলাদেশ। তাতে সম্মত হয় আদানি। তবে ডিসকাউন্ট এবং কর সুবিধা দেওয়ার জন্য ঢাকার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে শিল্প গোষ্ঠিটি।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গ্রীষ্মের চাহিদা বৃদ্ধির আগে এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) অনুরোধে, আদানি পাওয়ার আগামী সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণ সরবরাহ পুনরায় শুরু করতে রাজি হয়েছে। তবে আদানি পাওয়ার বিপিডিবি-র আরও কিছু দাবি থাকলেও তা মানতে রাজি হয়নি, যার মধ্যে রয়েছে আগের ডিসকাউন্ট ব্যবস্থা আবারো চালু করা।
আদানি পাওয়ারের বিষয়ে একটি বাংলাদেশি সূত্র সংবাদ সংস্থাটিকে জানায়, তারা (আদানি) কোনো ছাড় দিতে রাজি নয়, এমনকি ১ মিলিয়ন ডলারও না। অন্য একটি সূত্র জানায়, আমরা(বিপিডিবি) কোনো ছাড় পাইনি। আমরা একটি পারস্পরিক সমঝোতা চাই, তারা বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি কার্যকর করছে।
বিপিডিবি-র চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম এ বিষয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি। তবে তিনি জানান, আদানির সঙ্গে এখন কোনো বড় সমস্যা নেই এবং প্রতি মাসে ৮৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি পেমেন্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে।
বিষয়টি নিয়ে আদানি পাওয়ারেরমুখপাত্র তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে কোম্পানিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিদ্যুৎ সরবরাহকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুতের সরবরাহের পরিমাণ পরিবর্তিত হতে পারে।
ডিসেম্বরে, আদানির একটি সূত্র জানায়, বিপিডিবির কাছে আদানির প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার পাওনা রয়েছে, যদিও বিপিডিবি-র চেয়ারম্যানের দাবি ছিল এই পরিমাণটা আসলে ৬৫০ মিলিয়ন ডলার। বিদ্যুতের শুল্ক কীভাবে হিসাব করা হবে, তা নিয়ে মূলত এই বিরোধ।
বিপিডিবি এর আগে আদানি পাওয়ারের কাছে মিলিয়ন ডলার মূল্যের কর সুবিধা এবং মে মাস পর্যন্ত এক বছর ধরে চলা ডিসকাউন্ট প্রোগ্রাম পুনরায় চালুর জন্য অনুরোধ করেছিল। তবে আদানি এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে।