পিবিএ,কুড়িগ্রাম: টানা ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তা,ধরলা ও ব্রহ্মপূত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পনিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। দিন দিন নুতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। নিমজ্জিত হচ্ছে আমন বীজ তলা, সবজি ক্ষেত ও রাস্তা ঘাট। এছাড়াও প্রায় ৫০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠায় সেগুলো বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। নদী তীরবর্তি ও নদী বিচ্ছিন্ন উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের চর ও দ্বীপচরে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক পানিবন্দি মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে।
সরেজমিনে বন্যা কবলিত গুজিমারি গ্রাম, হাতিয়া ভবেশ, কামারটারী, হাতিয়া গ্রাম, বাবুর চর,চর কদমতলা, গাবুরজান, জাহাজের আলগা, গেন্দার আলগা, রামখানা চর, দক্ষিন গুজিমারী, কাজিয়ার চর, জলাংগের চর, চর মোহাম্মদ পুর এসব এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘরের ভেতর পানি ঢুকছে। রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে। লোকজন গবাদি পশু নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছেন। নলকূপগুলো পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির চরম সংকটে পড়েছেন। জ্বালানী সংকটে শুকনো খাবার খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের। পানিবন্দি মানুষজন পার্শ্ববর্তী উচু জায়গায় আশ্রয় নিলেও গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
পানি বন্দি সজুরুদ্দিন (৭১), হযরত আলী (৫৬), তমিরন (৪৮),জোসনা বেগম (৫১), রমিচা (৩৮) শামছুল হক (৫৪), আব্দুল করিম (৬৫), আজাহার আলী (৩৫), আকলিমা খাতুন (৫৮), মোর্শেদা খাতুন(৪২) নজব আলী (৬৫), মোনছার আলী (৭০) সহ একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, ” বানের পানিতে হামরা ভাসি যাই বাহে কাইও (কেউ)এলাও খোঁজ নিবের আসিল নে। আন্দবেরও পাইনে খাবারও পাইনে”।
এদিকে রবিবার স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক এম এ মতিন ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টু বন্যা দূর্গত এলাকা উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়ন পরিদর্শন করেন। এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ আব্দুল কাদের বলেন, বন্যার্তদের জন্য ১০ মেঃ টন চাল, ২৫ হাজার টাকা ও ৩শ প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
পিবিএ/রোকনুজ্জামান মানু/বিএইচ