তিনি শুধু মুখে উচ্চারণ করলেন। আমাদের ছাত্রলীগ, যুবলীগ কর্মীরা কৃষকের ধান কেটে দিবে। আর অমনি সারা দেশে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ধান কাটায় নেমে পরলেন। মানুষ যখন কোন বিষয়ে কামালিয়াত্ত্ব অর্জন করে। তখন ওই মানুষের প্রতিটি কথা, চালচলন পার্থিব কর্মকান্ড আপামর মানুষের জন্য অনুকরণীয় অনুস্মরণীয় হয়। শেখ হাসিনার দেশপ্রেম কতটা গভিরে প্রত্থিত তা এই একটি আহ্বানেই প্রতিয়মান।
সারাদেশে ৫২ টি জেলায় পিবিএ’র প্রতিনিধিরা প্রতিমুহুর্তের সংবাদ সংগ্রহ কাজে নিয়োজিত। গত কয়েকদিনে এই সব জেলা থেকে সংবাদ এসেছে বঙ্গবন্ধু কন্যার ডাকে সারা দিয়ে নেতাকর্মীরা কৃষকের ধান কেটে মাড়াই করে দিচ্ছেন। গতকাল সবশেষ একটা সংবাদ প্রকাশ করে কিছু লিখার তাগিদ অনুভব করলাম। সুনামগঞ্জের ডিসি মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ লোকজন নিয়ে রাতে ধান কেটেছেন। এটা সত্যি অভাবনীয়। এটা কেবল প্রতীকি কাজ নয়। সত্যিকার অর্থেই প্রান্তিক মানুষের পাশে দাড়ানোর অনন্য নজির।
ছাত্রলীগ যুবলীগ সারাদেশেই কৃষকের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধান কাটছে। এরপরও ওই ডিসি বা চৌদ্দগ্রামের ইউনো মাসুদ রানা ছাড়াও অনেকেই কৃষকের পাশে দাড়িয়েছে। তাদের কথা বলতেই হবে নতুবা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। গাজীপুর কালিয়াকৈরে কৃষকলীগ, শেরপুরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা, নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ, টঙ্গীতে স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ সারাদেশে আওয়ামী লীগের অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ধান কাটছে।
বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা সবসময়ই নেতাকর্মীদের সদুপদেশ দেন। প্রন্তিক কৃষকের পাশে নেতাকর্মীদের দাড়ানো তার সর্বশেষ নজির । করোনা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ঘুচিয়েছে। আগামীদিন গুলোতে জীবন এভাবেই আগুয়ান হবে। শেখ হাসিনার দেশপ্রেমের ছোঁয়া লাগুক প্রতিটি অন্তরে। এই প্রত্যাসা।