শেখ হাসিনাকে আসামি করে নয় বছর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৮২ জনের নাম এবং অজ্ঞাত দুই-তিনশ জনের কথা রয়েছেন।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উত্তরা পশ্চিম থানায় হাজির হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ৮২ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও গত উপ-নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগরের উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান। যার মামলা নম্বর হলো ১৫/৩৬৪ – ৮/১০/২০২৪ ইং।
মামলার বিবরণে জানা যায় ২০১৫ সালের ১৯ এফ্রিল বিকেল ৫টায় উত্তরার রাজলক্ষী কমপ্লেক্সের সামনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিত আউয়ালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে এই হামলা হয়।
এই সময় মামলার নথিপত্র বুজে নেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: হাফিজুর রহমান। প্রধান আসামি হিসেবে পলাতক শেখ হাসিনাসহ বিশেষ করে সিনিয়র কয়েকজন এর মধ্যে রয়েছেন (২) সাবেক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, (৩) সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল,(৪) ঢাকা-১৮ আসনের সাবেক এমপি হাবিব হাসান, (৫) দক্ষিণখান এর সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন, (৬) ঢাকা ১৮ আসনের সাবেক এমপি মো: খসরু চৌধুরী, (৭) ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, (৮) যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার, (৯) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো: আফছার উদ্দিন খান, (১০) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো: ইসহাক মিয়াসহ মোট ৮২ জন আসামি রয়েছেন ।
মামলার বাদী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও গত উপ-নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল সিটি নির্বাচনে খালেদা জিয়া মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে ভোট চাইতে এসেছিলেন। তখন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। তখন মামলা করার চেষ্টা করলেও পুলিশ প্রশাসন মামলা নেয়নি। এখন দেশে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় মামলা করা হয়েছে।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘পুরোনো ঘটনার মামলা হওয়ায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। হামলার সময়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত করার চেষ্টা করা হবে।’