শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ফটকাবাজ নেতাদের স্থান নেই

দুর্নীতির বিবরণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ফটো

শতাব্দী আলম: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষেই এটা সম্ভব। বর্তমান বিশে^ কোন রাষ্ট্রেই এভাবে নিজ দলের দূর্বত্ত্বদের শাস্তির আওতায় আনার নজির নেই। অবৈধ অর্থের ঝণঝনানিতে ফটকাবাজ নেতা সস্তা জনপ্রিয়তা চাউর করে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেইসব ফটকাবাজদের স্থান হবে না। তিনি অত্যন্ত বলিষ্ঠ কন্ঠে ঘোষণা করেই ক্ষান্ত হননি। একের পর এক ফটকাবাজ দূর্বত্ত্বকে কারারুদ্ধ করছেন। পাশাপাশি তাদের অবৈধ সাম্রাজ্যও ধ্বংশ করা হচ্ছে। যেহেতু উন্নয়নের সুযোগ নিয়ে দূর্ণীতি চক্রের এক শ্রেনীর আমলা ও রাজনীতিবিদ বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক। ক্যাসিনো সম্রাট বা পতিতা পাপিয়া দূর্ণীতি চক্রে ভাগ বসিয়েছে মাত্র। সম্রাট ক্যাসিনো খুলে দূর্ণীতির টাকা হাতিয়েছে। আর পাপিয়া খুলেছে পতিতালয়। আশংকার জায়গা হচ্ছে ওইসব দূর্বত্ত্ব আওয়ামী লীগের মূল ধারায় স্থান করে নিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কণ্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এমন ফটকাবাজদের জায়গা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে হবে না।

পাপিয়ার মুখোশ উন্মোচিত। পাপিয়া চাপ্টার শেষ। সম্রাট, খালেদ, ইনু, রুপনও একইভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। অতিতেও দু-একজন গডফাদার এমনভাবে গ্রেপ্তার হয়নি তা নয়। তবে ওই পর্যন্তই। অবৈধ অর্থের জোড়ে খুব সহজেই তারা পার পেয়েছে। বিএনপি জামায়াত সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় অন্য দেশে পালানোর সুযোগ নিয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে তা আর হচ্ছে না। আমরা দেখতেই পাচ্ছি আইনশ্রঙ্খলা বাহিনি খোঁজে খোঁজে এইসব গডফাদারদের অবৈধ অথ- সম্পদ জব্দ করার কাজ অব্যহত রেখেছে। এভাবে যদি আর্থিকভাবে এদের পঙ্গু করা যায় তাহলে জেলের ঘানি টেনে একসময় এমনিতেই নিঃশেষ হবে। আর এদের পৃষ্ঠপোষক হিসাবে যারা ছিলেন তাদেরও দলীয় পদ থেকে বিদায় করা হয়েছে।

তারপরও কথা আছে। এখনো রাষ্ট্রযন্ত্রের ভিতরে দূর্ণীতির রাঘববোয়ালদের দৌড়াত্ম কমেনি। ক্যাসিনো, পতিতালয় এসব দৃশ্যমান। এদের খদ্দের কিন্তু ওইসব রাঘব বোয়ালরাই। তারা আমলা, সাংসদ, মন্ত্রী, মেয়র, নেতার পদবী কাজে লাগিয়ে অঢেল অর্থ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। বিষয়টি বঙ্গবন্ধু কণ্যা বেশ ভালভাবেই ওয়াকিবহাল আছেন। গণমাধ্যমে প্রকাশ, যে কারনে তিনি নিজ দলের অনেক সাংসদ, মেয়র, নেতার জন্য গণভবনে প্রবেশাধিকার সীমিত কোন কোন ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ করেছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতার সাথে কথা বলে জেনেছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও নেতাকে ডেকে বিশেষ সর্তক নির্দেশনাও দিয়েছেন। ঢাকা দক্ষিন সিটি বা চট্রগ্রাম সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী পরিবর্তন এর ক্ষুদ্র প্রকাশ মাত্র। ভবিষ্যতে হয়তো আরো অনেক পরিবর্তন অপেক্ষা করছে।

বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে। এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। তবে উন্নয়নের উপার্জিত অর্থ ক্যাসিনো বা পাতিতালয়ে নিঃশেষ হওয়া কোনভাবে কাম্য নয়। অর্থ তা দূর্ণীতির উপার্জিত বা বৈধ যে কোনভাবেই হোক। নোটের অর্থমূল্য একই। প্রতিটি ক্ষেত্রেই বলা হচ্ছে সরকার প্রধান হিসাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার নির্দেশ দিয়েছেন। একথাতো স্পষ্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্র বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনার কাছে দুষ্টের স্থান নেই। তাহলে আইশৃঙ্খলা বাহীনি কি ! পারে না সব রকম অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। তারা কি পারে না চিহ্নিত ওইসব আমলা নেতাদের বিচারের মুখোমুখি করতে। আম জনতা হিসাবে আমরা এমনই চাই। জয়তু শেখ হাসিনা।

লেখক: শতাব্দী আলম, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক

আরও পড়ুন...