শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি: সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ায় ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছিল সব দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা। তার ব্যতিক্রম ঘটেনি বাংলাদেশেও। করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশের সকল মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছিল সরকার। তখন মানুষজন বলছিল ঘরে থাকব খাব কি? ঘরেতো খাবার নেই। এই কথা বলে সরকারকে বেকায়দায় ফেলেছিল সবাই। অথচ শপিংমলগুলো খুলে দেয়ায় সেখানে মানুষের কমতি নেই। একেই বলে বাঙালি। ঘরে থাকতে বললে খাবার নেই অথচ মার্কেটে গেলে টাকার অভাব নেই। ১৬ মে শনিবার সকালে এমনই চিত্র দেখা গেছে বগুড়ার শেরপুরের মার্কেটগুলোতে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি হয়। ২০২০ সালের জানুয়ারী মাসেই পর্যায়ক্রমে সারা বিশে^ই ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। মার্চ মাসের ৮ তারিখে বাংলাদেশেও ধরা পড়ে করোনা ভাইরাসটি। তার পর থেকে বিশ্লেষকদের সাথে পরামর্শের পর ২৬ মার্চ থেকে লকডাউন বিধি চালু করে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে না বেড়োনোর জন্য নির্দেশ দেন সরকার।
কিন্তু কে শোনে কার কথা। আমরা যে বাঙালি। যেটা করতে বলা হবে তা করে উল্টোটা করতেই আমরা বেশি পছন্দ করি। তাইতো সবাই বললো ঘরে থাকবো খাব কি ? ঘরেতো খাবার নেই। অথচ সিমিত আকারে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ১০ মে থেকে শপিংমল খুলে দেয়ার কথা শুনেই সবাই আনন্দে ভাসতে লাগলো। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্বের তোয়াক্কা না করে ধুমছে চলছে সবার কেনা কাটা। বগুড়ার শেরপুরের মার্কেটগুলোতে মানুষের ঢল দেখেই বোঝা যায় যে এদের টাকার কোন অভাব নেই।
সামাজিক দুরত্ব, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, মাস্কের ব্যবহারের কথা জানতে চাইলে শেরশাহ নিউ মার্কেটের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, আমরা ক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে দোকানের সামনে আসতে বলছি কিন্তু তারাইতো শুনছেনা। তাহলে আমরা কি করতে পারি।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জামশেদ আলাম রানা বলেন, মার্কেট ব্যবসায়ীদের পুনরায় ডেকে সরকারি সকল বিধি মেনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এতো কিছুর পরেও যদি তারা এগুলো নিয়ন্ত্রন করতে না পারে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
পিবিএ/আবু বকর সিদ্দিক/বিএইচ