পিবিএ,শেরপুর : শেরপুরের নকলা উপজেলায় কথিত মাজারের চা পান করে অন্তত ১৪জন ভক্ত অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ৪জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার উরফা ইউপির রানী শিমুল এলাকায় মৃত হাকিম ফকির এর কবরের মাজারে উরস চলাকালে ওই ঘটনা ঘটে। পরে বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অসুস্থ্যদের দেখতে হাসপাতারে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান ও নকলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রানী শিমুল এলাকার মনেজ আলী তার বাবা মৃত হাকিম ফকির মারা যাওয়ার পরে তার কবরকে মাজার বানিয়ে প্রতিবছর উরস পালন করে আসছে। উরসে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ভক্তবৃন্দরা মঙ্গলবার রাতে আসেন। এই সুযোগে মাজারের খাদেম সাত্তার দরপট বাজার থেকে চা পাতা ও বিভিন্ন সরঞ্জামাদী এনে মাজার এলাকায় চা তৈরি করে বিক্রি করেন। ওই চা পান করে নারী ভক্তসহ অন্তত ১৪জন অসুস্থ্য হয়ে পড়লে, তাদেরকে রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে ৪ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তবে এখন সবাই আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল হক হীরা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পিবিএকে জানান, ঘটনটি দুঃখ জনক। মাজার হওয়ার পরে এমন ঘটনা এই প্রথম ঘটলো।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম তালুকদার ভূট্টো বলেন, মাজারে এমন ঘটনা শুনার পরে গভীর রাতে আমরা দুই ভাই ঘটনাস্থলে ছুটে যাই এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় অসুস্থ্যদের দ্রুত হাসপাতালে প্রেরণের ব্যবস্থা করি। এই ঘটনার সাথে যে বা যারা জড়িত আছেন তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবী করেন তারা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. মজিবর রহমান বলেন, চায়ের মধ্যে এমন কিছু মিশানো হয়েছিল, যা খেয়ে ভক্তবৃন্দরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। ল্যাবে পরীক্ষা করলে বুঝা যাবে চায়ের মধ্যে কি মেশানো হয়েছিল। এই মূহুর্তে নির্দিষ্ট করে কিছু জানা যায়নি না বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান পিবিএকে বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চায়ের মধ্যে কি মেশানো ছিলো। তা দ্রুত সময়ের মধ্যে জানা যাবে।
নকলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসেন পিবিএকে বলেন, চায়ের কাঁচামাল ও পাত্র পরীক্ষা করে বুঝা যাবে চায়ের মধ্যে কোন নেশা জাতীয় দ্রব্য ও চেতনানাশক কিছু ছিলো কিনা।
পিবিএ/এসএম/হক