শোয়ার ঘর থেকে যে সব জিনিস দূরে রাখবেন

পিবিএ ডেস্ক: প্রতিদিনের কাজ শেষে নিজ বাড়িতে ফিরতে হয় আমাদের। সারা দিনের ক্লান্তির পর আরামের শেষ ঠিকানা এই বাড়িই। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন, এই বাড়িতে নিজের ঘরটা কেমন করে সাজানো উচিত? আমরা তো বাইরেটা সাজিয়ে রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু আপনার এই বেডরুম আপনার মানসিক শান্তির পেছনে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে নিজের রুম যাতে নিজের জীবনেই নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে, তার জন্যে কী কী করা উচিত নয়, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া দরকার। চলুন জেনে নিই নিজের শোয়ার ঘরকে কীভাবে গুছিয়ে রাখবেন-

অফিসকে ঘরে আনবেন না

সারা দিন অফিসে কাজ করে বাড়িতে আমরা শান্তির জন্যে আসি। কাজ থেকে একটু হালকা হতেই আমাদের বাড়িতে আসা। তাই নিজের সঙ্গে অফিসের কাজের চাপ বেডরুমে আসতে না দেওয়াই ভালো। অফিসের কাজের পেপার বা ফাইল সামনে থাকলে অন্তরঙ্গ বা নিভৃত কোনো মুহূর্তই আপনার জন্যে শান্তির হবে না।

অপ্রয়োজনীয় জিনিস জমা করবেন না

নিজের বেডরুমকে যথাসাধ্য সাধারণ রাখুন। অযথা অতিরিক্ত আসবাবপত্র দিয়ে ঘর ভরিয়ে রাখবেন না। বিছানার ওপর জামা-কাপড়ের স্তূপ বা বইয়ের স্তূপ দিয়ে ভরিয়ে রাখবেন না। মনে রাখবেন এগুলোর জন্যে ওয়্যারর্ড্রোব বা বুক শেলফ আছে।

ইলেকট্রনিক ডিভাইসকে না

ইলেকট্রনিক ডিভাইসকে চেষ্টা করুন বেডরুমের বাইরে রাখতে। শুনতে হয়তো হাস্যকর শোনাবে, কিন্তু এটা সত্যি। কারণ আমরা জানি আজকের দিনে এই যন্ত্রপাতি আমাদের সময় কতটা নষ্ট করে দেয়। ফোনে সবসময় মুখ গুঁজে থাকতে থাকতে নিজের জন্য বরাদ্দ সময়টুকু আর থাকে না। তাই চেষ্টা করুন দিনের শেষ সময়টুকুও যেন মোবাইল ফোন কেড়ে না নেয়।

এঁটো বাসন থাক ঘরের বাইরে

অনেক সময় হোম ডেলিভারির খাবার প্যাকেট খুলে আমরা আলসেমিতে বেডরুমে এনেই খেতে থাকি। আবার কখনো চা বা কফি খেয়ে, সেই কাপ ওখানেই ফেলে রাখি। এটা অস্বাস্থ্যকর এবং দৃষ্টিনন্দন নয়। খাবার পরে সেই প্লেট বা কাপ বা প্যাকেট বাইরের কিচেনে রেখে আসুন।

টিভিকে ‘না’ বলুন

আপনি অবিবাহিত হন, তাহলে হয়তো টিভি একটা সময় পর্যন্ত আপনার সময় কাটাতে সাহায্য করবে। কিন্তু বিবাহিত হলে আপনি কখনোই চাইবেন না, একটা যান্ত্রিক মাধ্যমের বিনোদন আপনার অন্তরঙ্গ মুহূর্তকে নষ্ট করুক। এ ছাড়াও অনেক সময় আমরা ঘুম আসছে না, এই অজুহাতে টিভি চালিয়ে রাখি। এই স্বভাব আমাদের ঘুমানোর অভ্যাস অনেকভাবে পাল্টে দেয়।

অতিরিক্ত কৃত্রিম আলো

অতিরিক্ত আলো না রাখার চেষ্টা করবেন। মনে রাখবেন আপনার ড্রইংরুম আর বেডরুমের মধ্যে তফাৎ থাকা জরুরি। অতিরিক্ত আলো যাতে আপনার শান্তি বিঘ্নিত না করে, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।

ধূমপান/অ্যালকোহল বেডরুমে না

আপনি বিবাহিত হন বা অবিবাহিত, সঙ্গী থাকুক বা না থাকুক-নেশা করার অভ্যাস বেডরুম পর্যন্ত না আসাই ভালো। আমাদের অতিরিক্ত ডোপামিনের আরামের জন্যে আমাদের অবচেতন মন সবসময় ওই নেশার দিকে ঝুঁকে থাকে। এই অভ্যাস আপনার পছন্দের হলেও আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর পছন্দের নাও হতে পারে।

পিবিএ/বিএইচ

আরও পড়ুন...