শ্বশুরবাড়ির অমানবিক নির্যাতনের বিচার চান মিলা

পিবিএ,ঢাকা: স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন-যৌতুকের অভিযোগে এনে সংগীতশিল্পী মিলা বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় রাজধানীর বেইলি রোডের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এ সময় মিলার বাবা ও বোনসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক স্বামী ও তার পরিবারের করা নির্যাতনের কথা তুলে ধরে মিলা বলেন, ‘আমাকে প্রায় বাসা থেকে বের করে দিতো।’ এই কথা বলার পরই অঝোরে কাঁদা শুরু করেন মিলা।


মিলা বলেন, ‌‘দুই বছর অপেক্ষা করেছি। ভেবেছি এর প্রতিকার পাব। তাই প্রধানমন্ত্রীর শরণাপন্ন হয়নি। কিন্তু এখন আর পারছি না। তাই মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার ওপর করা অমানুষিক নির্যাতনে বিচার চাই। শুধু শিল্পী নয়, ২০১১ সাল থেকে আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য। একজন কর্মী হিসেবেও এ দাবি আমার।’

তিনি জানান, পরিকল্পিতভাবে স্বামী বৈমানিক পারভেজ সানজারির বিরুদ্ধে করা মামলার ধারা পরিবর্তন করা হয়েছে। বলেন, ‘‘বিচার তো দূরের কথা, দাখিল করা ‘খ’ ধারার চার্জশিট আমাকে না বুঝতে দিয়ে ‘গ’ ধারায় মামলা চার্জ গঠন করা হয়। আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। আমার জানা ছিল, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় কোনও রকমের হস্তক্ষেপে নেত্রীর কঠোর নিষেধ রয়েছে। তিনবার আদালতের আদেশ টানা অমান্য করলে জামিন বাতিল হবার কথা। পাঁচবার আমাকে কোর্ট নানান বুঝ দিয়ে পার্মানেন্ট জামিন দেয়।’’

নির্যাতনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমি যেদিন তাদের বাড়ি থেকে চলে আসি আমার স্বামীর কথায় আমার শাশুড়ি আমাকে বাথরুম থেকে দরজা ভেঙে বিনা কাপড় অবস্থায় জঘন্যভাবে টেনে আমার দেবর তার স্ত্রী এবং তার স্ত্রীর বাবা মায়ের সামনে এক ঘণ্টা গালিগালাজ করেছেন। আমার বাবা ভাইবারের ভিডিও কলের মাধ্যমে পুরাটা ঘটনা দেখে। এক পর্যায়ে আমি হাতজোড় করে ভিক্ষা চাই এই বলে, ‘আম্মু আমাকে মেয়ে বলে নিয়ে আসছিলেন, আমার গায়ে কাপড় নাই, দয়া করে আমাকে ঘরের দরজা বন্ধ করে যা বলার বলেন। কিন্তু এই অপমান করেন না।’’

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের মে মাসে পারিবারিকভাবে বৈমানিক পারভেজ সানজারির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মিলা ইসলাম। বিয়ের পর গানে হয়ে পড়েন অনিয়মিত। জড়িয়ে যান সংসার জীবনের দ্বন্দ্ব-বিবাদে। নারী নির্যাতন-যৌতুকের অভিযোগে এনে স্বামী সানজারির বিরুদ্ধে মামলাও করেন তিনি। সবশেষে, সংসার জীবনের ইতি টানেন পপ গানের এই শিল্পী।

পিবিএ/জেআই

আরও পড়ুন...