পিবিএ ডেস্কঃ ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ বা সংক্ষেপে COPD রোগ সম্পর্কে অনেকেই বিস্তারিত জানেন না। এই রোগে ফুসফুসে সংক্রমণের ফলে শ্বাস নেওয়া কষ্টকর হয়ে যায়।
যদি সময়মতো চিকিৎসা না করা যায় তাহলে এই রোগ মারাত্মক আকার নিতে পারে। মূলত ধূমপান ও বায়ুদূষণের কারণেই এই রোগ বাসা বাঁধে মানুষের শরীরে। এবং ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি না করা পর্যন্ত এই রোগ ধরা পড়ে না।
তবে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই রোগের কিছু পূর্বলক্ষণ রয়েছে। সেগুলিকে এড়িয়ে না গিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। নাহলে এই রোগ প্রাণঘাতী হতে পারে।
অবিরাম কাশিঃ এই রোগে অবিরাম কাশতে থাকে রোগী। ঘন ঘন কফ উঠতে থাকে গলা দিয়ে। যদি সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এমন চলতে থাকে তাহলে অবস্থায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
শ্বাস কষ্ট ও বেশি কফ উঠাঃ শ্বাস কষ্ট বা শ্বাস কম পড়া এর অন্যতম লক্ষণ। শরীরচর্চা করার সময়ে বা সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময়ে শ্বাসের সমস্যা নিত্যদিনের হয়ে দাঁড়ালে এড়িয়ে যাবেন না। সর্দি-কাশির সময়ে অনেক বেশি পরিমাণে কফ উঠতে থাকলে সাবধান হোন।
জোরে শ্বাস নেওয়াঃ সোঁ সোঁ শব্দ করে শ্বাস নেওয়ায় অভ্যস্ত হলে সেটা অত্যন্ত খারাপ লক্ষণ। যদি শ্বাস নিতে সমস্যা হয় তাহলে আপনার চিকিৎসার প্রয়োজন।
ক্লান্তিঃ কোনও কারণ ছাড়াই যদি আপনি ক্লান্তি অনুভব করেন তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রতিদিনের কাজকর্ম করার এনার্জি না পাওয়া, একইসঙ্গে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হলে সেটা এই রোগের লক্ষণ হতে পারে।
হঠাৎ ওজন কমে যাওয়াঃ কোনও কারণ ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া অত্যন্ত খারাপ লক্ষণ। COPD-র অন্যতম লক্ষণ এটি। আপনি এতে আক্রান্ত কিনা সেটা যাচাই করে নিন।
ত্বকের রঙ বদলে যাওয়াঃ যদি দেখেন শরীরের নানা জায়গা নীল হয়ে যাচ্ছে, অথবা আঙুল বা নখ নীল হয়ে যাচ্ছে, তাহলে চিকিৎসকের কাছে যেতে দেরি করবেন না।
পিবিএ/এমআর