তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে আসার পাশাপাশি টাইগাররা গড়ল এক নতুন ইতিহাস।
এই প্রথম শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে জয়লাভ করেছে বাংলাদেশ। এর আগে উপমহাদেশের বড় বড় দলকে হারালেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ কখনও ওয়ানডে সিরিজে জয় লাভ করেনি। দুইবার সিরিজ জয়ের দ্বারপ্রান্তে এসেও শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারেনি টাইগাররা। তবে এবার আর সেই সুযোগ হাতছাড়া করেনি তামিমের নেতৃত্বে বাংলাদেশ। এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে স্বাগতিকরা।
মঙ্গলবার (২৫ মে) সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে বৃষ্টি আইনে ১০৩ রানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারের আগেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। পুরো ওভার খেলতে ব্যর্থ হয় টাইগার ক্রিকেটাররা। ৪৮.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৪৬ রান।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন দুশমন্ত চামিরা এবং লক্ষ্মণ সান্দাকান। মুশফিকুর রহিমের অনবদ্য সেঞ্চুরির ওপর ভর করে এই পুঁজি পায় বাংলাদেশ। মুশফিক একাই করেন ১২৫ রান। ১২৭ বলের এই ইনিংস খেলার পথে ১০টি চার মেরেছেন তিনি। প্রথম ওয়ানডেতে সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে ফিরেছিলেন। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে আর ভুল করেননি। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একাই লড়াই করেন মুশফিকুর রহিম। একপ্রান্ত আগলে রেখে তুলে নেন ক্যারিয়ারে অষ্টম সেঞ্চুরি।
মঙ্গলবার (২৫ মে) দ্বিতীয় ওয়ানডের শুরুতেই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তামিম ও সাকিবকে হারিয়ে হোঁচট খায় স্বাগতিক বাংলাদেশ। তামিম করেন ১৩ রান, আর সাকিব ফিরেছেন শূন্য হাতেই। তবে দলের দুঃসময়ে হাল ধরেন মিস্টার ডিপেন্ডেবলখ্যাত মুশফিকুর রহিম।
মুশফিকের সেঞ্চুরির পথে বেরসিক বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়ালেও দমে যাননি তিনি। ৭৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দলের বিপদের মুহূর্তে হাল ধরেছেন মুশফিক। তার সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। রিয়াদ বিদায় নেন ৫৮ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলে। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ত্রাতার ভূমিকায় হাজির হন মুশফিক।
১১ রান করে আউট হয়েছেন সাইফউদ্দিন, শরিফুল ফিরে যান প্রথম বলেই। ৪৯তম ওভারের প্রথম বলে চামিরার স্লোয়ার ডেলিভারিতে ক্যাচ আউট হন মুশফিক। থেমে যায় ১২৫ রানের ইনিংস। ১১ বল বাকি থাকতেই ২৪৬ রানে অল আউট হয় স্বাগতিকরা।
ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা। সফরকারী ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেন সাকিব-মিরাজরা। ৮৯ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
পরের ব্যাটসম্যানরা আসা-যাওয়ার মিছিলে থাকেন। ৩৮ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে যখন শ্রীলঙ্কার রান ১২৬, তখন ফের বৃষ্টি হানা দেয়। ৯টা ৫০ মিনিটে যখন বল মাঠে গড়ায় তখন স্বাগতিকদের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ৪০ ওভারে ২৪৫ রানের।
তবে ৪০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রান করতে সক্ষম হয় সফরকারীরা। লঙ্কানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন দানুশকা গুনাথিলাকা। টাইগারদের হয়ে মিরাজ ও মুস্তাফিজ ৩টি করে, সাকিব ২টি এবং শরিফুল ১টি উইকেট লাভ করেন।