সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডের দিন সিরিজ বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।এছাড়া হামলার মূল পরিকল্পনাকারীসহ আটজনের ছবি প্রকাশ করেছে সংগঠনটির মুখপত্র আমাক নিউজ অ্যাজেন্সি । বলা হয়েছে, ছবিতে থাকা ব্যক্তিরাই হামলার মাস্টারমাইন্ডসহ আত্মঘাতী সাতজন হামলাকারী।
এর আগে মঙ্গলবার, আমাক নিউজ অ্যাজেন্সি এক বিবৃতিতে জানায়, শ্রীলঙ্কায় হামলা চালিয়েছে আইএসের যোদ্ধারা। হামলার পর আইএসের ‘যোদ্ধা’রা উল্লাস করছে।
পরে হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে উগ্রপন্থী ধর্মীয় নেতা জাহরান হাশিমের ছবি প্রকাশ করা হয়। এখন পর্যন্ত আইএস বলছে, তিনিই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী।তার পাশে থাকা অন্য সাতজনের মুখ কাপড়ে ঢেকে দেওয়া রয়েছে। জঙ্গি গোষ্ঠীর তরফ থেকে আগেই বলা হয়েছে তাদের নাম, আবু ওবায়দা, আবু আল মুক্তার, আবু খলিল, আবু আল বাররা, আবু মুহাম্মদ এবং আবু আবদুল্লাহ। তারা সবাই আইএসের পতাকার সামনে দাঁড়িয়ে ফ্রেমবন্দি হয়েছেন।
তবে হামলাকারীরা যে জঙ্গি গোষ্ঠীটির প্রতি অনুগত সে বিষয়ে তারা কোনো ছবি বা ভিডিও দেয়নি।একসময় ইরাক ও সিরিয়ায় দখল করা ভূমির সব হারানো আইএস আগেও অনেক হামলার অসমর্থিত দায় স্বীকার করেছিল।
রবিবারের হামলায় এখন পর্যন্ত তিনশ ২১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আইএস আগের বিবৃতিতে জানিয়েছে, হামলার টার্গেট ছিল খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষজন।
শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী রাভন বিজয়বর্ধনে এদিন পার্লামেন্টে এক বিবৃতিতে বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে দেখা যাচ্ছে, নিউ জিল্যান্ডের মসজিদে চালানো হামলার প্রতিশোধ হিসেবে এটা (শ্রীলঙ্কার হামলা) করা হয়েছে।”
তবে নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে নামাজের সময় গুলি চালিয়ে ৫০ জনকে হত্যার সঙ্গে শ্রীলঙ্কার ঘটনার যোগসূত্র কীভাবে খুঁজে পাওয়া গেল – তা বিশদ করেননি বিজয়বর্ধনে।
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে পার্লামেন্টে বলেছেন, হামলার সঙ্গে বিদেশি যোগসাজশের বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
একই ধরনের বিবৃতি আগের দিন প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার দপ্তর থেকেও এসেছিল। তিনি বলেছিলেন, শ্রীলঙ্কার যে সংগঠনই ওই হামলা চালিয়ে থাকুক,তারা বাইরে থেকে সহযোগিতা পেয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্তে আন্তর্জাতিক সহায়তাও চাওয়া হয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকারের তরফ থেকে। পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোলের একটি প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যে সেখানে কাজ শুরু করেছে।
পিবিএ/এএইচ