আমাদের সমাজ ব্যবস্থাই অসেচতনতায় ভরপুর। কতদিকে সামলাবো। সকাল বেলা ঘুম থেকে জেগেই নতুন সমস্যার কথা শুনলাম। কি আর করা ! সংকিত চিত্তে আপনাদের সচেতন করি।
প্রফেসর গিন্নি বেশ গদগদ ভাষ্যে জানালেন, ‘একটা লোক ভ্যানে করে বেশ সুন্দর ছাপার গজ কাপড় এনেছিল। কয়েক গজ রেখেছি। ঈদের মার্কেটেতো যাওয়া হবে না। ঘরে বসে মেয়েরা নিজেদের পড়ার জামা বানাতে শিখুক।’
মেয়েরা নিজেদের জামা নিজেরা বানাবে, খুশি হবো! না অজানা আতংকে দৌড়া পালাবো, আমার অবস্থা তাই।
গিন্নিকে বুঝালাম কাপড়ের ফেরিওয়ালা করোনা ফেরি করছে না, তা কি করে বুঝলা। এই কাপড় কত হত ঘুরে এসেছে। তারপর ফেরিওয়ালা বাড়ি বাড়ি গিয়ে যখন হাক দেয়, নিশ্চয় তোমার মত অন্যরাও কাপড় উল্টেপাল্টে দেখে। একজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি এই কাপড় হাতড়াতে পারে! এতো রিতিমত করোনার ফেরিওয়ালা।
রেখেই ফেলেছে অগত্যা আসু সমাধান হিসেবে গুড়ো সাবানে ধুয়ে নেয়ার পরামর্শ দিলাম। রোদে শুকানোর কথাও বললাম।
মেয়েরাও কাপড় নেড়েচেড়ে দেখেছে। ওদের ভালভাবে সাবান পানিতে হাত মুখ পরিস্কার করতে বলি। গরম পানিতে বার বার গার্গেল করার পরামর্শ দেই। নিয়মিতই কুসুম গরম পানিতে লেবু আর আদা কুচি মিশিয়ে কয়েক ঢোক গিলাই। এ কয়েকদিন বেশী খেতে বলি।
তবে এই করোনা কালে সবচাইতে উত্তম হচ্ছে এ ধরনের ঝুকিপূর্ণ কেনাকাটা থেকে বিরত থাকা। বিশেষভাবে ফেরিওয়ালাদের থেকেতো নয়ই। কারন এরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাপড় ফেরি করার নামে করোনা ফেরি করে বেড়াচ্ছে না তার কি গ্যারান্টি।
করোনা আমাদের পরিচ্ছনতার আদব শেখাচ্ছে। বিলাসিতা, অমিতব্যয়ীতা, অপ্রয়োজনে ঘুড়াফেরা, অবান্তর আড্ডবাজি, অশ্লিল কথা চালাচালি এসব করোনা কালে কম হচ্ছে বৈকি।
আমরা এ থেকে শিক্ষা নিতে পারি। এতেও আমাদের দিব্যি চলে যাচ্ছে। তাহলে আগামী দিনগুলোতেও চলতে পারে।
পিবিএ/শতাব্দী আলম