করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। আজ সর্বোচ্চ ৬৬৫ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এখনো যারা ভাবছেন বিপদ কেটে গেছে। অনেক বড় ভুল করছেন।
সেরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেতো সরকারই ঘোষণা দিবে। যারা ঘরে বসে পেরেশান অথবা অর্থনৈতিক ক্ষতির বিবেচনায় বের হচ্ছেন। তারা মারাত্মক ভুল করছেন। কারন প্রতিদিন সংক্রমণ বাড়ছে। এখনই সর্বোচ্চ সর্তকতা ও সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।
আজই সকালে আমার একজন ঘনিষ্ট স্বজন মুঠোফোনে জানতে চায়, এক গ্রাম পরে নাতিকে দেখতে যেতে পারে কিনা। তার ভাষ্য, অনেকদিন ঘরে থাকতে থাকতে হাসফাস লাগছে। একটু দম ছাড়াও হলো। নাতিকেও দেখা হলো।
আমি বেশ জোড়ালোভাবে নিষেধ করে থামাই। তিনি হয়ত ঘরে থাকার কারনে বাহিরের বাস্তব পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পারছেন না। চেষ্টা করি বুঝাতে। তিনি আমার কথা মেনে বিরত হন।
এমন সব পরিবারেই ঘটছে। আমার বেলায় মানলেও অবস্থা দৃষ্টে বুঝা যাচ্ছে, অনেকেই মানছেন না। কোন না কোন অজুহাতে ঘরের বার হচ্ছেন।
না এটা করা ঠিক হচেছ না। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া কোন ভাবেই উচিত হচ্ছে না।
মনে রাখবেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের একেবারে মিডিল পয়েন্টে বাংলাদেশ রয়েছে। এখনো প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা শতকের ঘরে রয়েছে। বা মৃত্যুর হার দুই অংকের হয়নি। তাই বলাই যায় অন্য দেশের সাথে তুলনামুলক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সর্তকতা এবং সচেতনতার মাধ্যমে এটাকে মোকাবেলা করতে হবে। সরকারী নির্দেশনা মেনে চলাই হবে সবথেকে উত্তম। তা মেনে চললে প্রত্যাসা করি, বাংলাদেশ খুব দ্রুত করোনা প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে।
পিবিএ/শতাব্দী আলম