পিবিএ,ঢাকা: চক্রটি বিভিন্ন সময়ে বছিলা,মোহাম্মদপুর ও রায়ের বাজার এলাকায় সংঘবদ্ধভারে চুরি ও ছিনতাই চক্রটি । চক্রটি লোভে পড়ে অল্প সময়ে বেশি টাকা আয়ের জন্য ট্রাক ভাড়া করে সেই ট্রাক ছিনতাই করে বিক্রি করতেন।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) র্যাব- ২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফজলুল হক এসব কথা জানিয়ে বলেন, রাজধানীর পল্লবী এলাকায় হাত-পা বেঁধে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে পিকআপচালক সাকিবকে হত্যার ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিয়াম এ ঘটনার মূলহোতা।
গত ৬ নভেম্বর বুড়িগঙ্গা নদীর দক্ষিণ পাড় থেকে হাত-পা বাঁধা ও মুখমণ্ডল স্কচটেপ পেচানো অবস্থায় সাকিবের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ৭ নভেম্বর কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন নিহত সাকিবের চাচা জামাল। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার মামলা নম্বর-২৭/৬২২।
সিনিয়র সহকারী পরিচালক ফজলুল হক বলেন, গত ২ ডিসেম্বর এই ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিদের গ্রেফতার করতে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে র্যাব। পরে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মো. মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার র্যাব-২।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মিজান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার জড়িত কথা স্বীকার করেছেন। এরপর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ৩ ডিসেম্বর এই হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামি মো. নাইমুল হোসেন ওরফে সয়াম গ্রেফতারকৃত করা হয়।
ক্লুলেস এই মামলায় র্যাব-২ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে হত্যায় জড়িত তিনজনের মধ্যে মূলহোতাসহ তিনজনকেই গ্রেফতার করে। গ্রেফতার লায়মান ওরফে সিয়াম আগে গ্রেফতার আসামিদের সহযোগিতায় এই হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত করেছে বলে স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, চক্রটি বিভিন্ন সময়ে বছিলা, মোহাম্মদপুর ও রায়ের বাজার এলাকায় সংবদ্ধভারে চুরি ও ছিনতাই কাজ করতেন। তারা লোভে পড়ে অল্প সময়ে বেশি টাকা আয়ের জন্য ট্রাক অথবা পিকআপ ভাড়া করে সেই ট্রাক বা পিকআপ ছিনতাই করে বিক্রির পরিকল্পনা করেন।
তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সাকিবের গাড়িটি তারা ভাড়া করে। গন্তব্যে যাওয়ার এক পর্যায়ে তারা কৌশলে সাকিবের হাত-পা বেঁধে ফেলেন। আর কালো স্কচটেপ দিয়ে তার মুখ ও মাথা পেচিয়ে ফেলেন। এরপর রাত ১২টার দিকে তারা নদীর দিকে নিয়ে গিয়ে সাকিবের মরদেহ নদীতে ফেলে দেয়।
এ হত্যাকাণ্ডে আর কেউ জড়িত আছে কি না সেই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।