পিবিএ ডেস্ক : আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আপিল শুনানির পর বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আড়াই হাজার। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন পড়ে ৫৪৩টি। প্রথম দিনের শুনানিতে ৮০জন, দ্বিতীয় দিনে ৭৮জন এবং তৃতীয় দিন অন্তত ৮৫ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। সব মিলিয়ে মোট ২৪৩জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আর ৩’শ জনের আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে। মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৫২২জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী সংখ্যা ১৮৫ জন।
তবে বেশিরভাগ প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছে বিএনপির । এবং শুনানিতে হাই প্রোফাইল প্রার্থিদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বিএনপি নেতা মীর নাছির, মীর হেলাল, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বিশেষ উপদেষ্টা রুহুল আমীন হাওলাদার, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারসহ তিন’শ প্রার্থীর আবেদন না মঞ্জুর করেছে নির্বাচন কমিশন।
অন্যদিকে বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ব্যরিষ্টার নাজমুল হুদা, বিএনপির প্রার্থী গোলাম গোলাম মওলা রনি, আফরোজা আব্বাস, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এম মোর্শেদ খান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, বিএনপি প্রার্থী ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ব্যরিষ্টার আমিনুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফা, জামায়াত নেতা গোলাম রব্বানী দুই শতাধিক প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী কুড়িগ্রাম-৪ আসনের মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও ঝিনাইদহ-৪ আসনের প্রার্থী আব্দুল মান্নানও প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২৬৪টি আসনে ২৮১জন এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ২৯৫টি আসনে ৬৯৬জন এবং জাতীয় প্রার্থী ২১০টি আসনে ২৩৩ জন প্রার্থী দিয়েছিল। জানা গেছে আজ ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ। এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ ডিসেম্বর।