পিবিএ,নোয়াখালী: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার বিষ্ময় বালক কনক কর্মকার। ফুটবল ব্যালেন্সিং-এ গড়েছেন বিশ্বরেকর্ড। গ্রিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড এ নিজের নাম উঠিয়ে উজ্জল করেছেন বাংলাদেশের মান। ৬০০ গ্লাসের উপর ফুটবলসহ কপালে রেখে এ রেকর্ড করেন তিনি। আরো এগিয়ে যেতে সরকারের সহায়তা চেয়েছেন কনক কর্মকার ও তার পরিবারের সদস্যরা।
জানা গেছে, উপজেলার গনিপুর গ্রামের কিশোর কনক কর্মকার। আগ্রহের মাধ্যমে নিজের মাঝে খুজে পেলেন অসাধারণ ব্যালেন্সিং দক্ষতা। এই দক্ষতা দিয়ে নিজের একটা পরিচয় গড়তে চেয়েছিলেন তিনি। প্রথম দিকে পরিবারের কারও কাছ থেকে উৎসাহ পাননি এই কিশোর। তবুও নিজের প্রতি বিশ্বাস রেখে পড়াশোনার পাশাপাশি প্রতিদিন অনুশীলনে বিভোর রইলেন কনক। অনুশীলনের এক পর্যায়ে তার সামনে চলে আসে সেই মহেন্দ্রক্ষণ। নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন গ্রিনেজ বুক রেকর্ডকারী কর্তৃপক্ষের সাথে। অবশেষে চলতি বছরের প্রথমেই সেই সাফল্য ধরা দেয় কিশোর কনকের কাছে। ১ মিনিট ৬ সেকেন্ড কপালে সারিবদ্ধ ৬০০ গ্লাস ও তার উপর ফুটবল রেখে তিনি ইতিহাস গড়তে সক্ষম হন। তার নাম লিখা হয় গ্রিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে। এর আগে এই রেকর্ডটি ছিল ইতালির নাগরিক রোকো মারকিও ৫০০ গ্লাসের। নিজের এমন রেকর্ডে উচ্ছ্বসিত কনক।
নিয়মিত ফুটবল নিয়ে অনুশীলন করতেন তিনি। মাথায়, কপালে ও মুখে কলম নিয়ে সেই কলমের ডগায় অনেক সময় ধরে রাখতে পারতেন ফুটবল। কিন্তু ফুটবলের কোন দিকটা নিয়ে রেকর্ড গড়ার সুযোগ আছে সেটি অজানা থাকায় সারিবদ্ধ গ্লাসে অনুশীলন করে গড়লেন এই অনন্য রেকর্ড। আগামীতে কনক ভাঙতে চান আরো কিছু বিশ্ব রেকর্ড। বর্তমানে কপালে ১৬ মিনিট গিটার রেখে রেকর্ড গড়ার অনুশীলনে ব্যস্থ কনক কর্মকার।
পড়ালেখার পাশাপাশি এমন রেকর্ডে খুশি পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসী। আরো এগিয়ে যেতে কনক ও তার পরিবারের সদস্যরা চাইলেন সকলের সহযোগীতা।
কনক কর্মকার জানান, আগামীতে যে তিন রেকর্ড আমি করতে অনুশীলন করছি তার জন্য সময় ও অর্থ দুটোই দরকার। তাই তিনি সকলের সহযোগীতা চাইছেন।
বিষ্ময় বালক কনক কর্মকারের এই অর্জনে দারুন খুশি নোয়াখালী জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস। তিনি জানান, কনক কর্মকারকে আরো এগিয়ে যেতে আমরা সহযোগীতা করবো। জাতীয় ভাবে প্রচারের জন্য বাংলাদেশ ক্রীড়া পরিষদসহ সংশ্লিষ্ঠদের সাথে যোগাযোগ করবো এবং তার প্রতি জেলা ক্রীড়া সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত থাকবে।
পিবিএ/এফএস