সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী ৮৮ এসএসসি ব্যাচ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু হওয়ার পরই সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, এখনো বিভিন্ন উপায়ে গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি এবং পতিত স্বৈরাচারের দোসররা নানাভাবে কাজ করছে। একটির পর একটি ঘটনা সারাদেশের মানুষকে ভাবিয়ে তুলছে, আতঙ্কিত করছে। উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় নিমজ্বিত রাখছে।
সচিবালয় চারদিক বেষ্টিত একটি সরকারি দপ্তর। সেখানে আগুনে ভস্মীভুত হয়ে গেছে অনেক ফাইল। তারমধ্যে সবচেয়ে বির্তকিত দুর্নীতিবাজ সাবেক কেবিনেট সচিব, যার নামে তদন্ত হচ্ছে তার ফাইলও পুড়ে গেছে। এটা তো রহস্যজনক। আজকে সারাদেশের মানুষ সন্দেহ পোষণ করছে। কারণ বুধবার দেখেছি- শেখ হাসিনার নিকটজনদের বেশ কিছু ফাইল তলব করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা। এর ফলেই এই ধরণের ঘটনা সচিবালয়ে ঘটেছে। এসব ঘটনা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা স্বৈরাচারের দোসরদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়নি। বিপ্লবীক চেতনা নিয়ে, ছাত্র-জনতার আহুতির স্পিরিটকে লালন করে প্রশাসন সাজানো হয়নি। সেই শেখ হাসিনার দোসর ও আওয়ামী লীগকে যারা লালন-পালন করে ও সহযোহিতা করেছে, মুজিব কোট পড়ে ওসি ও এসপির দায়িত্ব পালন করেছেন, তারাই আজকে সচিবালয়ের বিভিন্ন পদে বসে আছেন। তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করবে কেন? তারা গণতন্ত্রের বিপ্লবকে ধারণ করবে কেন? তারা নানা কারসাজির মধ্যে দিয়ে এই সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
রিজভী বলেন, নির্বাচন তো গণতন্ত্রের একটা অনুসঙ্গ। আপনারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ) একটাকে মাইনাস করছেন কেন? সংস্কার চলবে, নির্বাচন চলবে। আপনাদের স্ব স্ব অভিমতগুলো পেশ করবেন। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ যাকে ভোট দেবে, তারা সেই সংস্কার নিয়ে কাজ করবে। সেটা না করে আপনারা প্রতিপক্ষ বানাচ্ছেন। নির্বাচনকে আলাদা করে সংস্কারকে বড় করে দেখা হচ্ছে। এটা দুরভিসন্ধিমূলক মনে হচ্ছে।