পিবিএ ডেস্ক: প্রায় বেশীরভাগ নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরি প্রত্যাশীদের ছবি ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপিতে প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তার স্বাক্ষর সহযোগে সত্যায়ন করতে হয়। যা এই ডিজিটাল যুগে নিতান্তই সেকেলে।
জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা আইডি নম্বর দিয়েও সহজেই যে কোনো ব্যক্তিকে শনাক্ত করা যায়। একজন ব্যক্তিকে শনাক্ত করার এত আধুনিক উপায় থাকা সত্ত্বেও কেন এত হয়রানি? অন্যদিকে, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকসহ প্রায় সব বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয়েরই নিজস্ব ওয়েবসাইটে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর নম্বরপত্রসহ হালনাগাদ তথ্য দেয়া থাকে। নির্দিষ্ট ব্যক্তির রোল, রেজি. নম্বর ও পাসের সাল দিয়ে যে কেউ যে কারোর শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাই করতে পারে।
যে কোনো কাগজ বা ছবি সত্যায়নের জন্য একজন গেজেটেড অফিসারের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়। যারা প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা, তাদের এত সময় কোথায়- মানুষের চারিত্রিক যোগ্যতা পর্যবেক্ষণের, মানুষের ছবি শনাক্ত করে সত্যায়নের?
এমন অনেক প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা রয়েছেন, যারা তাদের অফিসের দরজায় আগে থেকেই নোটিশ টাঙিয়ে রাখেন- ‘এখানে সত্যায়ন করা হয় না’; যা অত্যন্ত অস্বস্তিকর ও অপমানজনক। সত্যায়নের নামে সাধারণ মানুষকে অপমান ও হয়রানি করা বন্ধ করা হোক। সরকারিসহ যে কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আবেদন প্রক্রিয়া থেকে সত্যায়নের মতো ঝামেলা ও বিড়ম্বনার পর্বটুকু বাতিল করা এখন সময়ের দাবি।
শিক্ষার্থী, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ
পিবিএ/এফএস