সন্তান হত্যার বিচারের দাবিতে প্ল্যাকার্ড হাতে মা-বোন

পিবিএ,নড়াইল: সন্তান হারা মা, আর ভাই হারা ছোট্ট বোন টি বিচারের দাবিতে বিভিন্ন মহলে ধর্ণা দিয়ে বিচার না পেয়ে অবশেষে বিচারের দাবিতে নড়াইল প্রেসক্লাবের সামনে প্লাকার্ড হাতে দাড়িয়েছেন মা আন্না বেগম আর ছোট্ট মেয়ে বিজয়পুর সরকারি প্রাথমি বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী রোখসানা খানম। প্লাকার্ডে লেখা “শিশু সাব্বির হত্যা দুই বছর প্রশাসন নিরব কেন ? শিশু সাব্বির হত্যাকারীদের গেস্খফতার করে দ্রুত আইনে বিচার চাই”।

শিশু সন্তানের হত্যার বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ফল বিক্রেতা হতদরিদ্র মা আন্না বেগম। সন্তান হত্যার প্রায় দেড় বছর অতিবাহিত হলেও এখনও হত্যাকারীদের কোনো সন্ধান করতে পারেনি পুলিশ। কারা এবং কেন শিশু সাব্বিরকে হত্যা করলো সে খবরও দিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অবশেষে কোনো উপায় না পেয়ে তিনি সাংবাদিকদের দ্বারস্থ হলেন। তার বিশ্বাস এবার যদি তিনি সন্তান হত্যার বিচার পান। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় নড়াইল প্রেসক্লাবের সামনে সন্তানকে নিয়ে মানববন্ধন করেন স্বামী হারা আন্না বেগম। তিনি বলেন, আমি গরিব মানুষ, আমার কেউ নেই বলে আমার সন্তানের মামলায় কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। আমি কি আমার সন্তান হত্যাকারীদের বিচার পাবো না ?

জানা গেছে, ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র সাব্বির হোসেন জেলার কালিয়া উপজেলার খড়রিয়া গ্রামের শাহাদত হোসেনের পূত্র। বাবা তার মার কোনো খোঁজ-খবর না নেওয়ায় মা আন্না বেগমের সাথে নড়াইল পৌর এলাকার বিজয়পুরে নানা বাড়িতে থাকত। সাব্বির সংসারের চাকাকে সচল রাখতে লেখাপড়ার পাশাপাশি ব্যাটারিচালিত ভ্যান চালিয়ে দরিদ্র মায়ের সংসারে বাড়তি আয় রোজগার করত। ২০১৯ সালের ১৫মার্চ বিকেলে বাড়ি থেকে ভ্যান নিয়ে বের হয় সাব্বির। পরে আর বাড়ি ফেরেনি। এর দু’দিন পর ১৭ মার্চ বাড়ির থেকে ৩ মাইল দুরে নড়াইল-গোবরা সড়কে কাড়ারবিল এলাকায় একটি ডোবার মধ্যে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সময় ধারণা করা হয় সাব্বিরকে হত্যা করে ব্যাটারিচালিত ভ্যানটি দুর্বৃত্তরা নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় সাব্বিরের মা আন্না বেগম বাদি হয়ে ১৯মার্চ সদর থানায় কারও নাম উল্লেখ না করে নড়াইল সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলাটির কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় বাদির আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলা তদন্তে সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক(এসআই) আরমিন বলেন, মামলাটি আমরা ৪ মাস পর পাই। তখন সন্দেহভাজন ৩জনকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্ত কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। আমরা দোষিদের খুজে বের করতে অত্যন্ত আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি। প্রকৃত দোষীদের খুজে বের করার চেষ্টা করছি।

পিবিএ/শরিফুল ইসলাম/এসডি

আরও পড়ুন...