সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারে নারী হত্যার প্রতিবাদে, বিক্ষোভ মিছিল

পিবিএ,খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালা উপজেলায় বাবুছড়া সোনামিয়া টিলা ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি মো: আবদুল মালেকের বাড়ীতে সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারে মোর্শেদা বেগমকে হত্যার প্রতিবাদে, বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ করেছে, উত্তেজিত ও বিক্ষুব্ধ বাঙালীরা। “দীঘিনালার সর্বস্তরের জনগণ” ব্যানারে ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানানো হয়। শনিবার(১৫ই আগস্ট) বিকেলে বোয়ালখালী বাজার থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ মিছিল। বিক্ষোভ মিছিলটি দীঘিনালা থানা বাজার প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে(লারমা স্কোয়ার) গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
সমাবেশে মো: সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বাঙালী ছাত্র পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো: আবদুল মজিদ। প্রতিবাদ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বাঙালী ছাত্র পরিষদের সাধারন সম্পাদক খাগড়াছড়ি পৌর কমিশনার এসএম মাসুম রানা, নজরুল ইসলাম মাসুদ, তাহেরুল ইসলাম সোহাগ, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের দীঘিনালা উপজেলার শাখা সভাপতি আল-আমিন, সম্পাদক মনছুর আলম হীরা, আহাম্মাদুর রহমান, শামীম হোসেন এবং হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা সোনামিয়া টিলা ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি আবদুল মালেকের বাড়ীতে হামলাসহ গুলি করে মোরশেদা বেগমকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এসময় বক্তারা উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক হামলায় নিহত সকল বাঙালি হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এছাড়া পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত নিরীহ জনগনের জানমাল রক্ষায়, সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে বেদখলকৃত সোনামিয়া টিলা সহ সকল বাঙালীদের জমি ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানানো হয়।

ঘটনার পর পরই পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ দীঘিনালা শাখা নেতাকর্মীরা ঘটনার প্রতিবাদে খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা প্রধান সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল ব›দ্ধ করে দেয়। এ সময় সাধারন যাত্রীরা আতংকে ঘন্টাখানিক দুর্ভোগে পড়তে হয়। মুহুর্তে সাধারন যান পরিবহন বন্ধ হয়ে যায। ঘটনার প্রতিবাদে দুপুরে পরে দীঘিনালা বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে(লারমা স্কোয়ার) পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। পরে দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাশেমের মধ্যস্থতায় ঘণ্টাখানেক পর অবরোধ তুলে নিয়ে পুনঃরায় আবার যান চলাচল শুরু করা হয়।

এদিকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বাবুছড়া এলাকা গভীর রাতে উপজাতি সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে আব্দুল মালেকের স্ত্রী নিহত ও ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ায় তীব্র নিন্দা ও সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়েছে-পার্বত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদ। শনিবার(১৫আগস্ট) রাত সাড়ে ১টায় দীঘিনালা বাবুছড়া সোনা মিয়া টিলার ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি মো: আবদুল মালেকের বাড়ীতে ঘুমন্ত পরিবারের উপর এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সংঘটিত হয়। এই সময় উপজাতি সন্ত্রাসীরা এলোপাথাড়ি ২০/২৫রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়, গুলি থেকে আ: মালেক প্রাণে বেঁচে গেলেও তার স্ত্রী মোরশেদা বেগম(৪০) নিহত হয় এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় ছেলে মো: আহাদ(১১)। আব্দুল মালেক ছিলেন সোনা মিয়া টিলার(৮১২ পরিবারের) ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি। উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পার্বত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভুঁইয়া ও মহাসচিব মো: আলমগীর কবির।

সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার লোকমান হোসাইনেরর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নেতৃবৃন্দ বলেন ৮১২পরিবারের জন্য সরকারের দেওয়া ৫একর সম্পত্তি উপজাতিরা দখল করে আছে দীর্ঘ ৩যুগ থেকে এবং তাদেরকে সাহস দিচ্ছে উপজাতি ইউপিডিএফ ও পিসিজেএসএস সন্ত্রাসী গোষ্ঠী।
আব্দুল মালেক ছিল এই ভুমিহারা পরিবারের নেতা। সন্ত্রাসীরা মনে করেছে মো: আবদুল মালেককে হত্যা করতে পারলে বাঙ্গালীদের জমি দখল করে রাখতে আর কোন বাধা থাকবেনা এবং ৮১২পরিবারের পক্ষে আন্দোলন বন্ধ হয়ে যাবে।

আরো দাবী করেন সোনা মিয়া টিলার বাঙ্গালীদের জায়গা দ্রুত বাঙ্গালীদের নিকট বুঝিয়ে দিতে হবে। সেনাবাহিনী চিরুনী অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবীতে ১৬ আগস্ট বেলা ১১টায় তিন পার্বত্য জেলায় একসাথে মানববন্ধন করা হয়।
মানবন্ধনে পরবর্তী কর্মসূচী এবং এ বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ ও হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানানো হয়। যথাসময় অপরাধীকে গ্রেপ্তারে অক্ষম হলে শান্তিপ্রিয় পার্বত্যবাসীকে সাথে নিয়ে কঠিন আন্দোলনের মাধ্যমে পার্বত্য এলাকা অচল করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারী উচ্ছারণ করেন।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার মধ্য রাতে বাবুছড়া গুচ্ছগ্রামে সোনামিয়া টিলা ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি মো: আবদুল মালেকের বাড়ীতে হামলা চালানো হয়। স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারে আবদুল মালেকের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়, এঘটনায় মালেকের ছেলে আবদুল আহাদ আহত হন। অন্যদিকে ফিরে যাওয়ার সময় আরও চার বাড়িতে ব্রাস ফায়ার করে সন্ত্রাসীরা। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এ ঘটনায় কারা জড়িত তা এখনো ষ্পষ্ট জানা যায়নি। বাবুছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিহত ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেলা সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আহত মো: আহাদকে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। স্পর্শকাতর এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী টহল জোরদার করা হয়েছে। এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।

ঘটনাটি ঘটেছে, বাবুছড়া গুচ্ছগ্রামে গত শুক্রবার(১৪ আগস্ট) রাত দেড়টার সময়। পরে উদ্ধার করে দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে মোর্শেদা বেগমের মৃত্যু হয়। এঘটনায় মালেকের ছেলে আবদুল আহাদ চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা যায়, দীঘিনালায় সোনামিয়া টিলা ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি আবদুল মালেকের বাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলা করেছে দূর্বৃত্ত্বরা। গত শুক্রবার রাত দেড়টার সময় উপজেলার বাবুছড়া গুচ্ছগ্রামে আবদুল মালেকের বাড়ীতে হামলা করে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ১৭/১৮জনের একটি দল। সন্ত্রাসীরা আবদুল মালেকের ঘর লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি ব্রাশ ফায়ার করে। হামলায় আবদুল মালেকের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম(৪৫) এবং ছেলে আবদুল আহাদ(১১) গুলিবিদ্ধ হয়। ৮/২০মিনিটের ব্রাশ ফায়ারে গুলিবিদ্ধ হয় আবদুল মালেকের স্ত্রী মোর্শেদা বেগমে(৪৫)। এসময় পাশে থাকা ছেলে আবদুল আহাদ(১১) গুলিবিদ্ধ হয়। মোর্শেদা বেগমের প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে হাসপাতাল নেয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন। আবদুল আহাদের বাম কানের উপরে গুলি লাগে। আহাদ দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এব্যাপারে সোনামিয়া টিলা ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি আবদুল মালেক জানান, আমি আমার স্ত্রী সন্তানসহ এক খাটেই ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ গুলির শব্দে আমি খাট থেকে মাটিতে শুয়ে পড়ি। পরে মোর্শেদা‘কে পায়ে ধরে খাট থেকে নামানোর চেষ্টা করি। ৮/২০মিনিটের মধ্যে শতাধিক রাউন্ড গুলি করে। আমার স্ত্রীর শরীরে বেশ কয়েকটি গুলি লাগে। তাকে কোলে নিয়ে অনেককেই ডাকাডাকি করি। প্রতিবেশীরা আসতে অনেক দেরি করে ফেলে, ফলে হাসপাতাল নেয়ার পথে সে মৃত্যুবরণ করেন। এঘটনায় আবদুল মালেক ইউপিডিএফ(প্রসিত) পক্ষকে দায়ী করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের দীঘিনালা উপজেলা শাখার সভাপতি আল-আমিন এবং সম্পাদক মনছুর আলম হীরা প্রেস বিজ্ঞপ্তি মারফতে হামলার ঘটনায় ইউপিডিএফ প্রসিত পক্ষকে দায়ী করেন। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
ইউপিডিএফ(প্রসিত) পক্ষের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা ঘটনার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ষড়যন্ত্রমূলক এ ঘটনা ইউপিডিএফ(প্রসিত ) পক্ষের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সাম্প্রদায়িক দাংগা বাধিয়ে ফায়দা লুটার অব্যাহত রেখেছে।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালার বাবুছড়ায় সন্ত্রাসীদের ব্রাস ফায়ারে নিহত মোর্শেদা বেগম, আহত হয়েছে তার ছেলে। শুক্রবার(১৪ই আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জেলার দীঘিনালা উপজেলাস্থ বাবুছড়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন গুচ্ছগ্রামের ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি আব্দুল মালেকের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আব্দুল মালেকের ছেলে মো: আহাদ। পরে দিঘীনালা হাসপাতালে নিয়ে গেলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে সেখানে তার মৃত্যু ঘটে। নিহতের স্বামী মো: আবদুল মালেক এ ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের দায়ী করেন। তবে ইউপিডিএফ’র মুখপাত্র তা অস্বীকার করেছেন।

দীর্ঘদিন ধরে গুচ্ছগ্রামের ৮১২পরিবারের ভূমি বিরোধ নিয়ে আন্দোলন করে আসছেন সোনা মিয়া টিলা ভূমি রক্ষা কমিটি। আর এ কমিটির সভাপতি হলেন মো: আব্দুল মালেক। এই ঘটনায় ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের হামলায় সোনামিয়া টিলা ভূমিরক্ষা কমিটির আহ্বায়ক আবদুল মালেকের স্ত্রী নিহত হন। সোনামিলা ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি আবদুল মালেকের বসত ঘরে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এতে আবদুল মালেকের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম(৪৫) গুলিবিদ্ধ হয়। তার ছেলে আবদুল আহাদ(১১) মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিটি তার কানের পাশ ঘেঁষে বেরিয়ে যাওয়ায় তিনি মারাত্মক আহত হন।
নিহত মহিলার স্বামী ও সোনামিয়া টিলা ভূমি রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক মো: আবদুল মালেক আরো বলেন, আমরা প্রতিদিনের মতো ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত শোয়া একটার দিকে হঠাৎ গুলি শুরু হয়। আমরা দ্রুত খাটের উপর থেকে নিচে নামতে শুরু করি। এর মধ্যে আমার স্ত্রীর কোমরে একটা গুলি লাগে। আরো একটি গুলি লাগে তার ঘাতে তেমন ক্ষতি হয়নি। এরপর টানা ব্রাশ ফায়ার চলে। আমার সন্তানের মাথায় গুলি লাগে। গুলি থামলে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে দিঘীনালা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে তিনি রাত দুইটার পরে মারা যান।

কারা গুলি করেছে-এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুল মালেক বলেন, এটা পাহাড়ের সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ ও তার সহযোগি দালালদের কাজ। দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় একটি গ্রুপ তার উপর হামলা করার হুমকি দিয়ে আসছিলো। তিনি বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েছিলেন জানিয়ে বলেন, তারা অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করছিলো। গতরাতে সফল হয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউপিডিএফের প্রেস সেকশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান নিরন চাকমার বলেন এ ঘটনার সাথে সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট জড়িয়ে লেপিয়ে দেওয়া মাত্র। এটি তাদের পারিবারিক কলহের জেরে ঘটনা হতে পারে। আমরা গনতন্ত্রে পদ্ধতি’র আন্দোলনে বিশ্বাসী। হত্যা বা হামলা করা আমাদের কাজ নয়। নিরাপত্তাবাহিনীর দ্ধারা ষড়যন্ত্রমূলক এ ঘটনা ইউপিডিএফ(প্রসিত) পক্ষের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা সব সময় অব্যাহত রয়েছে।

দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) উত্তম চন্দ্র দেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সন্ত্রাসীরা গভীর রাতে মো: আব্দুল মালেকের ঘর লক্ষ্য করে এলোপাতারি গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে মোর্শেদা ও তার ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মোর্শেদা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। তার ছেলে আহত আহাদ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। দীঘিনালা থানা পুলিশ মোর্শেদা বেগমের লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি, মামলা প্রক্রিয়াধীন।

পিবিএ/চাইথোয়াই মারমা/এসডি

আরও পড়ুন...