সন্ধা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কাঁদলে শরীরের ওজন কমে

কাঁদলে শরীরের ওজন কমে

 

পিবিএ,ডেস্ক: শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তায় ? তাহলে সন্ধা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কাঁদুন, আস্তে আস্তে ওজন কমে যাবে । হ্যাঁ, এমনই তথ্য দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি এশিয়া ওয়ানে প্রকাশিত নতুন একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, কেঁদে কেটে নিজের লুকনো আবেগকে বের করে ফেলতে পারলে খুব তাড়াতাড়ি মেদ ঝরে যায়। কিন্তু কী করে এমনটা সম্ভব?

সম্ভব,কারণ এর পেছনে রয়েছে বিজ্ঞান। কী সেটি? আমরা যখন কাঁদি তখন কর্টিসোল নামক এক হরমোন নিঃসৃত হয় আমাদের শরীর থেকে। এই হরমোনটির মাত্রা দেহে বেড়ে গেলে আমাদের দেহের মেদ কমে যায়। এছাড়াও মানসিক চাপ দ্বারা প্রভাবিত হরমোন আমাদের শরীরের টক্সিক পদার্থ গুলোকে বের করে দেয়। এটিও ওজন কমার জন্য উপযোগী। পৃথিবীর নামকরা একজন বায়োকেমিস্ট উইলিয়াম ফ্রে গবেষণার এই ফলাফলকে সমর্থন করেছেন।

কিন্তু কাঁদব বললেই কি আর কাঁদা যায়? তার ওপর সহজে যাদের কান্নাকাটি আসে না, তাদের পক্ষে তো আরোই কঠিন। অনেকেই আছেন দুঃখেও যাদের কান্না পায় না। তারা কি আর মেদ ঝরাবেন বলে কাঁদতে পারবেন? কারণ গবেষণায় এটাও জানানো হয়েছে যে মিছিমিছি কাঁদলে কোনও ফল দেবে না। সত্যি সত্যি কাঁদতে হবে। দুঃখে বিহ্বল হয়ে না কাঁদতে পারলে কিছুতেই মোটা থেকে রোগা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

সাধারণত তিন ধরণের কান্না হয়। একটি হল বেসাল বা স্বাভাবিক/ মূল কান্না, অর্থাৎ যা আমাদের চোখকে সাধারণ ভাবে ভেজা রাখতে সাহায্য করে, দ্বিতীয়টি হল রিফ্লেক্স বা প্রতিবর্ত কান্না যা অভিব্যক্তির সঙ্গে যুক্ত অর্থাৎ ধোঁয়া, ধুলো চোখে ঢুকলে চোখ থেকে যে অনিচ্ছাকৃত জল বেরয়, আর শেষটি হল সাইকিক, এটি আমাদের আবেগ, অনুভূতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তার মানে এই একমাত্র সাইকিক কান্নাই সাহায্য করবে আপনার শরীরের অতিরিক্ত স্নেহ পদার্থ ঝরিয়ে ফেলে ওজন কমাতে।

যখন আমরা বিশ্রামে থাকি তখন আমাদের কার্ডিয়াক পেশীগুলি ঘণ্টায় প্রায় সাড়ে আট ক্যালরি করে দাহ্য হয়। যখন আমরা আবেগতাড়িত হই, আমাদের হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়। এই বেড়ে যাওয়া হৃৎকম্পন পেশীগুলিকে বেশি মাত্রায় দহন করে। সন্ধে সাতটা থেকে রাত আটটা অবধি মেদ ঝরাবার জন্য কান্নাকাটির আদর্শ সময়। কারণ এই সময়ের মধ্যেই কর্টিসোন হরমোন সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ক্ষরিত হয়।

অতএব, এরপর যখন কান্না পাবে, কখনোই আটকাবেন না। কাঁদলে শুধু মন হালকাই হয় না, শরীরও সুস্থ থাকে। কিন্তু সত্যিই ঘন ঘন কান্না পেলে একবার খতিয়ে দেখে নিন অবসাদ গ্রাস করছে কিনা আপনাকে। ডিপ্রেশন কিন্তু শরীরের জন্য মোটেই ভালো না। খিদে কমিয়ে দেয়। এর ফলেও ওজন কমতে থাকে। এমনটা হলে শিগগির কোনও মনোবিদের পরামর্শ নিন।

পিবিএ/জেডআই

আরও পড়ুন...