সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর পুকুরে ফেলে দেয়

পিবিএ কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাতে উপজেলার বারোবাজার এলাকার হাসিলবাগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দু’জনকে আটক করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ধর্ষিতার বাবা বাদি হয়ে তিনজনকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

নির্যাতিতার মা’র দাবি, সন্ধ্যার পর তার মেয়ে বাড়ি থেকে পাশের বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হয়। এ সময় একই গ্রামের প্রিন্স ও রাসেলসহ তিন জন তার মুখ চেপে ধরে তুলে নিয়ে যায়। সেখান থেকে পার্শবর্তী কলাবাগানের ভিতর নিয়ে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়। সে সময় গ্রামের এক ব্যাক্তি দেখে ফেললে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এরপর রাতেই সেখান থেকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কনক কুমার দাস বলেন, এ ঘটনায় নির্যাতিতার পিতা বাদী হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখ করে এবং একজনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে কালীগঞ্জ থানা একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ ঘটনার রাতেই অভিযান চালিয়ে মুল আসামি প্রিন্স হোসেন ও নয়ন হোসেনকে গ্রেফতার করেছে।

পিবিএ/ আরিফ মোল্ল্যা/জেডআই

আরও পড়ুন...