পিবিএ ডেস্ক: পায়ে প্রচন্ড ব্যাথা হলে তিনি গাঁজা অ্যালকোহলের সঙ্গে মিশিয়ে পায়ে মালিশ করেন। কয়েক মিনিটেই ব্যথা চলে যায় ঘরে তৈরী এই দাওয়াইয়ে।
যদিও মেক্সিকোতে গাঁজা সেবন নিষিদ্ধ! তারপরও ব্যথানাশক ঔষধ হিসেবেতো এর বিকল্প নেই। ব্যাথানাশক হিসেবে কয়েক শতাব্দি ধরে এই দাওয়াইটি ব্যবহার করে আসছেন মেক্সিকোর হাজারো মানুষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেক্সিকো সিটির এক নারী এভাবেই জানালেন পৃথিবীর বেশীরভাগ দেশে নিষিদ্ধ গাঁজার গুণাগুণ।
তিনি ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছেন তার পরিবারকে এই মিশ্রন ব্যবহার করতে। তিনি তার পূর্বপুরুষের কাছ থেকে পেয়েছেন এই কবিরাজী জ্ঞান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৫৩ বছর বয়সি এক গৃহবধূ মারিজুয়ানার (গাঁজা) ব্যবহার সম্পর্কে আরো বলেন, ‘‘আমার আসলেই এটার উপর অনেক বিশ্বাস আছে। যখন আমি খুব ক্লান্ত বোধ করি তখন এটা আমি আমার পা, পায়ের পাতায় এবং শরীরে মাখি। এটা খুব উপকারি। আমি লবন ছাড়া চলতে পারি কিন্তু এটা ছাড়া চলতে পারিনা। আমার দাদি এটা ব্যবহার করতেন।”
একটা প্লাস্টিকের বোতলে তিনি সবসময় ওই মিশ্রনটি সংগ্রহে রাখেন।
তিনি তার পরিবারের তিন সন্তান ও তিন নাতির পরিচর্যার ক্ষেত্রেও এই ঔষধ ব্যবহার করেন। একটুকরো তুলা এই তরলে ভিজিয়ে বাচ্চাদের নাভির মধ্যে দিয়ে রাখলে জ্বর তাড়াতাড়ি সেরে যায় বলেও জানান তিনি।
মারিজুয়ানার এমন ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক রয়েছে দেশটিতে। মারিজুয়ানা বৈধ করা কি আমদ-প্রমোদের জন্য নাকি মেডিকেল ব্যবহারের জন্য। তবে ম্যেক্সিকানরা শত শত বছর ধরে মারিজুয়ানাকে ভেষজ হিসেবেই ব্যবহার করে আসছে।
নভেম্বরে জাতীয় পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হলে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট চারজন ব্যক্তিকে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারে জন্য মারিজুয়ানা উৎপাদন করার অনুমতি এবং দিক নির্দেশনা দেন। এর ফলে অনেকের জন্য দরজাও খুলে যায় আবেদনের।
গ্লেসি নামে আট বছর বয়সি একটি মেয়ে তীব্র মৃগিরোগে ভুগছে, তার বাব-মা আইনি লড়াই জিতে তারপর মেয়ের চিকিৎসার জন্য মারিজুয়ানার তেল আমদানি করান।
কিন্তু মেক্সিকানরা বহু প্রজন্ম ধরে দাদা-দাদির জাদুই ব্যবহার প্রতিকার করে আসছে, বড় ধরনের ব্যথা, জ্বর ও অন্যান্য অনেক সমস্যার টোটকা হিসেবে।
পিবিএ/এফএস