সবার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

Sheikh-Hasina
ফাইল ছবি

পিবিএ,ঢাকা: আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করি না, যুদ্ধ করতেও চাই না। সবার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে চাই। জাতির পিতা যেই নীতিমালা দিয়ে গিয়েছিলেন- ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়’। আমরা সেই নীতিতেই বিশ্বাস করি এবং সেই নীতিমালা নিয়েই আমরা চলছি। শান্তি চায় বাংলাদেশ। তবে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব রকম হুমকি বা আক্রমণ মোকাবেলায় যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার ( ৪ এপ্রিল) সকালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শন শেষে সেনাসদস্যদের উদ্দেশে বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাউকে ছাড় নয়, উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব রকমের হুমকি ও আক্রমণ মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

এটাই বলবো, যেহেতু মিয়ানমার আমাদের একেবারেই প্রতিবেশী তাদের সঙ্গে কখনও সংঘাতে যাবো না। বরং আলোচনার মাধ্যমে তাদের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) যেন তারা ফিরিয়ে নিয়ে যায় সেই প্রচেষ্টাই আমাদের অব্যাহত থাকতে হবে এবং সেভাবে সকলে দায়িত্ব পালন করবেন।

তিনি বলেন, মানবিক কারণেই আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। মিয়ানমারের সঙ্গে আমরা ঝগড়া বাঁধাতে যাইনি। আমরা আলোচনা করেছি, চুক্তি সম্পন্ন করেছি। তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এদের (রোহিঙ্গা) তাদের দেশে ফেরত পাঠানো-ই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা এখনও কাজ করে যাচ্ছি।

১৯৭১ সালে পাক হানাদারদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ভারতে আশ্রয় নেয়া বাংলাদেশের শরণার্থীদের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের নিজেদের অভিজ্ঞতা আছে। ১৯৭১ সালে আমাদের ১ কোটি মানুষ শরণার্থী ছিল। কাজেই তাদের নিয়ে এসে পুর্নবাসন করতে হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা আমাদের আছে।

এ সময় জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সেনা পাঠানোর আগে তাদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।

পিবিএ/এফএস

আরও পড়ুন...