আসন্ন উপজেলা নির্বাচন খুব সন্নিকটে, এরই মধ্যে জমে উঠেছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা ও জনসংযোগ। এরই ধারাবাহিকতায় গাবতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ঘোষনা দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অরুন কান্তি রায় সিটন। ১ম ধাপে গাবতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন তাই নিজের অবস্থান আরও সুসংহত করতে তিনি প্রতিদিন নিয়মিত গণসংযোগ, পথসভা, উঠান বৈঠকসহ নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। এমনকি দিনরাত ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় করে যাচ্ছেন। গাবতলী উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে প্রত্যেকটি গ্রামে পথসভাও করতে দেখা গেছে তাকে। নিজের প্রার্থিতা জানান দিয়ে তিনি ওইসব এলাকার সাধারণ মানুষের সমর্থন ও দোয়া প্রার্থনা করছেন। এছাড়াও তিনি বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন ও আগামীতে আর কী কী হতে যাচ্ছেন সেই বার্তাও পৌঁছে দিচ্ছেন। মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছাচ্ছেন যে তিনি শাসক নয়, সেবক হিসেবে কাজ করবে, কাজ করবে মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত বিরুদ্ধে উপজেলার সবাইকে সঙ্গে নিয়ে। এলাকায় সমাজসেবক হিসেবে তার ব্যাপক সুনাম রয়েছে। উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শ সৈনিক হিসেবে নিজেকে নিযুক্ত করে দীর্ঘ দিন ধরে উপজেলায় বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া সকল সময়ে তিনি অসহায়, দুস্থ মানুষের সুখ দুঃখে সর্বদা পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন উপজেলার সকল জনসাধারণকে। তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও দলীয় কর্মকাণ্ডসহ এলাকায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
অরুন কান্তি রায় সিটনের সম্পর্কে গাবতলী উপজেলার বিভিন্ন স্তরের জনসাধারণ বলেন,অরুন কান্তি রায় সিটন অনেক ভালো মনের মানুষ এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন সহ, বিভিন্ন কর্মকান্ডে বিশেষ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি বেকার যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে সহযােগীতা করে আসছেন। এছাড়াও উপজেলাবাসীর যে কোন বিপদ-আপদে সবসময় সহযােগীতা করে আসছেন। অল্প কিছু দিনের মধ্যে তিনি স্থানীয় মানুষের হৃদয়ের মাঝে আস্থা অর্জন করে নিয়েছেন। স্থানীয়রা আরো বলেন, সিটন একটি সত্যিকারের ফুল হিসেবে দিনে দিনে নিজের অবস্থান শক্ত করেছেন বিধায় আমরা গাবতলী উপজেলার জনসাধারণ দলমত নির্বিশেষে উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবে অরুন কান্তি রায় সিটন কে দেখতে চাই ।
অরুন কান্তি রায় সিটন জানান, গাবতলী উপজেলার গণমানুষদের সাথে নিয়ে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমি নির্বাচিত হলে সুশীল সমাজকে সঙ্গে নিয়ে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন তথা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাস্তাঘাট, কালভাট, মসজিদ-মাদ্রাসা, মন্দির, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেকার যুবক-যুবতীদের যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য কাজ করব।
তিনি দৃঢ় প্রত্যয়ে আরো বলেন, সর্বপরি সকলের সহযোগিতায় গাবতলী উপজেলাকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে দীর্ঘ দিনের জরাজীর্ণতা কে পিছনে ফেলে দিয়ে সব উন্নয়নমূলক কাজ ত্বরান্বিত করব, যেখানে থাকবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সুখশান্তি আর নাগরিকের সকল সুযোগ-সুবিধা।
