পিবিএ,ঢাকা: ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান শেষ করেছে র্যাব। পরে তাকে ওই কার্যালয় থেকে বের করে নিয়ে যায় র্যাব। সূত্র জানায়, সম্রাটকে নিয়ে র্যাবের একটি দল কেরাণীগঞ্জ কারাগারের দিকে যাচ্ছে।
অভিযান শেষ করে রেব করলে বাহিরে সম্রাটকে ঘিরে মিছিল করে তার অনুসারীরা। পরে র্যাব পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় সম্রাট সমর্থক যুবলীগের শতাধিক নেতাকর্মী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এর আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং সারোয়ার বিন কাশেম জানিয়েছেন, সম্রাটকে রিমান্ডে নেয়া হলে আরও অনেক তথ্য বের হয়ে আসবে।
রোববার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তালা ভেঙে সম্রাটের কার্যালয়ে ঢুকে অভিযান শুরু করে। সন্ধ্যা ৬ টায় অভিযান শেষ করে সংবাদ সম্মেলন করা হয় র্যাবের পক্ষ থেকে।
র্যাব জানায়, কার্যালয়টি থেকে অবৈধ অস্ত্র, ছয় রাউন্ড গুলি, ম্যাগাজিন, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, বিদেশি মদ, ১১শ ইয়াবা, নির্যাতন করার ইলেকট্রিক যন্ত্র, চাকু, লাঠি উদ্ধার করা হয়।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে সম্রাটকে ৬ মাসের সাজা দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালতটি পরিচালনা করে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।
এছাড়া আরমানকে মদ্যপ অবস্থায় পাওয়ায় তাকেও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সম্রাটকে কোন থানায় হস্তান্তর করা হবে তা র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। এছাড়া তাকে দণ্ড দেয়ায় কারাগারে নেয়া হবে কিনা তাও পরিষ্কার করা হয়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে।
পিবিএ/ইকে