পিবিএ,চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় কয়েক হাজার বিঘা সরকারি অর্পিত সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ভূমিদস্যুদের সংঘবদ্ধ একটি চক্র। অভিযোগ রয়েছে, জাল দলিল তৈরি করে সরকারি আওয়াতাধীন জেলার বহু পুরাতন অর্পিত সম্পত্তি হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি। বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ায় এই চক্রটির মূল লক্ষ্য। আদালতের বারান্দা আর সুশীল সমাজের কাছে বিচার দিয়েও মিলছে না কোন সুবিচার। ভূমিদস্যুদের একটি সংঘবদ্ধ চক্র তাদের প্রতিদিনই চালাচ্ছে উচ্ছেদ আতঙ্ক।
জাল দলিলের উপর ভিত্তি করে ইতিমধ্যে জেলার বেশ কয়েকটি মূল্যবান অর্পিত সম্পত্তির মালিক বনে গেছেন তারা। চক্রটি এতই শক্তিশালী যে তাদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা সরকারের কাছ থেকে লিজ নেয়া সাধারন ব্যবসায়ীরাও।
সরকারি সম্পত্তির পাশাপাশি ওই চক্রটির হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না অর্পিত সম্পত্তির পাশে থাকা ব্যক্তিগত সম্পদের মালিকরাও। তাদেরই একজন বড় বাজার পাড়ার বাসিন্দা অরুন চক্রবর্ত্তী। ভূমিদস্যুর চক্রটি জাল দলিল করে সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ায় একমাত্র মাথা গোজার ঠাই হারাতে বসে এখন হতাশ হয়ে পড়েছে হত দরিদ্র এই পরিবারের সদস্যরা।
ভুক্তভুগী চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার কাপড়ের ব্যবসায়ী শফি উদ্দিন জানান, মুক্তিযুদ্ধের আগে বড় বাজারের বড় ব্যবসায়ী মতিরাম আগর আওয়ালার ভারতে চলে যাবার পর তার এই বসতবাড়িটি সরকার জব্দ করে লিজ দেয়। দীর্ঘ চল্লিশ বছর পর আমরা সাধারণ ব্যবসায়ীরা কয়েক দিন আগে জানতে পেরেছি আদালত এই সম্পত্তি জেলার চিহ্নিত ভূমিদস্যু মশিউর রহমান হ্যাকার পক্ষে রায় দিয়েছে। এতে আমরা ব্যবসায়ীরা খুবই মর্মাহত।
বড় বাজারের আরেক ব্যবসায়ী কানাই লাল বলেন, আমরা বলছি না এই সম্পত্তির মালিক আমরা। এই সম্পত্তি সরকারের। আর তাই অবিলম্বে আমরা ভূমিদস্যু মশিউর রহমান হ্যাকার শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
এদিকে চক্রটির প্রধান অভিযুক্ত মশিউর রহমান হ্যাকা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সম্পত্তিগুলো তাদের পূর্বে ক্রয়কৃত। তারই জোড়ে তিনি এখন সম্পত্তিগুলোর বর্তমান মালিক হতে চান।
এদিকে ভূমিদস্যুরা সরকারি জমি জাল দলিল করে হাতিয়ে নেয়ার কথা স্বীকার করলেন জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে আছেন তারা।
চিহ্নিত এসব ভুমিদস্যুদের অর্থ যোগানদাতা ও পর্দার আড়ালে শক্তি হিসেবে যারা কাজ করছে তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।
পিবিএ/টিটি/এফএস