পিবিএ,সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জ-১(তাহিরপুর,জামালগঞ্জ,ধর্মপাশা ও মধ্যনগর)আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আগামীকাল ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১০টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাকে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য বলা হয়েছে।
গত সোমবার (১০ ফেব্রƒয়ারি) অনুসন্ধান দলের প্রধান ও সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের সই করা একটি নোটিশ সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের গুলশান-১ এর বাড়ি নং ২০/২২ এ ন্যাম ভিলার ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে। সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।,
সেসব অভিযোগে দুুদকের মুখোমুখি হতে হবে এমপি রতনকে:গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি.কে শামীম , ঠিকাদারসহ বিভিন্ন ব্যাক্তিদের সাথে অবৈধ প্রক্রিয়ায় পরস্পরের যোগসাজসে ঘুষ দেয়া নেয়ার মাধ্যমে বড়বড় ঠিকাদারী কাজ নিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্বসাত, ক্যাসিনো ব্যবসা ও অন্যান্য অবৈধ কর্মকান্ডের মাধ্যমে শতশত কোটি টাকা অবৈধ প্রক্রিয়ায় অর্জন পূর্বক বিদেশে পাচার ও জ্ঞাত আয় বহি:ভূত সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অভিযোগ।
উল্লেখিত অভিযোগের বিষয়ে এমপি রতন হাজির হয়ে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সেগুনবাগিচা ঢাকাস্থ প্রধান কার্যালয়ে অনুসন্ধান টিমের নিকট বক্তব্য প্রদানের জন্য বলা হয়েছে। এদিন নির্ধারিত সময়ে এমপি রতন দুদক অনুসন্ধান টিমের নিকট হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানে ব্যর্থ হলে বর্ণিত অভিযোগের বিষয়ে কোন বক্তব্য নেই মর্মে প্রতীয়তমান হবে বলে দুদক অনুসন্ধান টিম জানায়। এর আগে গত ২৪ অক্টোবর দুদক থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ইমিগ্রেশন বরাবর পাঠানো চিঠিতে রতনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, দুদকের অনুসন্ধানে এমপি রতনের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয়টির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ( ২০১৯) থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু হয়। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক।
এখন পর্যন্ত ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রায় ২০০ জনের তালিকা ধরে দুদক অনুসন্ধান করছে।
প্রসঙ্গত, কারারুদ্ধ আলাচিত ঠিকাদার জি.কে শামীমের সহযোগী ও ব্যবসায়ীক পার্টনার হিসাবে সুনামগঞ্জ-১ আসনের সরকার দলীয় বিতর্কিত এমপি রতনের বিরুদ্ধে ক্যাসিনো ব্যবসাসহ বর্ণিত অভিযোগের সুষ্ট অনুসন্ধানের
স্বার্থে তার বক্তব্য প্রদান, বক্তব্য গ্রহন ও অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুদক সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম গঠন করা হয়।
দুদদ পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে তদন্ত টিমের প্রধান করা হয়েছে।,
পিবিএ/এমএসএম