সরাইলে মহাসড়কের পাশ থেকে মাটি কেটে নিচ্ছে পুলিশ !

পিবিএ,সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশ থেকে মাটি কেটে নিচ্ছে পুলিশ। এতে হুমকির মুখে রয়েছে ব্যস্ততম এই হাইওয়ে মহাসড়ক। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সদরের কুট্টাপাড়া মোড় সংলগ্ন পূর্বদিকে মহাসড়কের পাশ থেকে বেকু ক্রেন দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে মাটি কেটে চারটি টাক্টরের মাধ্যমে এ মাটি অন্যত্র নেওয়া হচ্ছে। এতে বর্ষাকালে মহাসড়কটি হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে পথচারী অনেকে জানান।

এদিকে দেখা গেছে, এখান থেকে মাটি কেটে নিয়ে গিয়ে পাশেই মহাসড়ক সংলগ্ন হাইওয়ে পুলিশের কেনা একটি জমি ভরাট করা হচ্ছে। সেখানে পুলিশের একাধিক সদস্য দাড়িয়ে থেকে এ কাজ তদারকি করছেন।
পথচারী সবুজ খন্দকার, আলমগীর হোসেন, সেলিম মিয়াসহ কয়েকজন ব্যক্তি পিবিএ’কে জানান, একটি ব্যস্ততম মহাসড়কের পাশ থেকে যেভাবে নির্বিচারে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে, বর্ষা মৌসুমে মহাসড়কের এই স্থানটি হুমকির মধ্যে পড়তে পারে।

স্থানীয় লোকজন পিবিএ’কে জানান, শুনেছি এ জমিতে হাইওয়ে পুলিশের থানা ভবন হবে। এখানে থানা ভবন হউক তা সকলেই চায়। তবে মহাসড়কের পাশ থেকে এভাবে মাটি কেটে এনে এই স্থান ভরাট করবে তা কেউই মেনে নিবে না। এতে মহাসড়কের ক্ষতি হবে। প্রয়োজনে সরকারি বরাদ্দের টাকায় অন্য স্থান থেকে মাটি এনে তাদের জায়গা ভরাট করুক পুলিশ।

মহাসড়কের পাশে মাটি কাটার কাজে নিয়োজিত বেকু চালক মাসুদ মিয়া পিবিএ’কে জানান, তার বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলায়। স্থানীয় খাটিখাতা হাইওয়ে থানার ওসির নির্দেশে তারা এখানে মহাসড়কের পাশ থেকে মাটি কেটে নিচ্ছে।

এ ব্যাপারে জানতে সরাসরি দফতরে গেলে হাইওয়ে ওসি হোসেন সরকার মহাসড়কের পাশ থেকে মাটি কেটে নেওয়ার কথা স্বীকার করে পিবিএ’কে জানান, সেখান থেকে মাটি কেটে এনে মহাসড়কের পাশেই হাইওয়ে থানার নিজস্ব জমির সামনের অংশ ভরাট করা হচ্ছে। এতে সাত লক্ষ টাকা ব্যয় করছে পুলিশ। এ জমিতে ৪ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে চার তলা বিশিষ্ট হাইওয়ে থানা ভবন নির্মাণ হবে। মাটি ভরাটের অভাবে ঠিকাদার ভবনের কাজ শুরু করতে পারছেন না। তাই পুলিশ ব্যক্তিগত খরচে এই মাটি ভরাটের কাজ করাচ্ছে।

হাইওয়ে ওসি আরো পিবিএ’কে জানান, সরকারি জায়গার মাটি কেটে, সরকারি জায়গাই ভরাট করা হচ্ছে। সেই জায়গাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের। তাদের সাথে কথা বলেই পুলিশ সেই জায়গা থেকে মাটি কেটে আনছে। এতে মহাসড়কের কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।

পিবিএ/আরইএস/এমএসএম

আরও পড়ুন...