মহাসড়কে পুলিশের হাতে স্পিডগান

পিবিএ, সরাইল, ব্রহ্মণবাড়ীয়া: যেই কেউ প্রথমে দেখলে মনে হবে পুলিশ চলন্ত গাড়ির মুখোমুখি হয়ে গুলি করছে। আসলে তা নয়। এটি গাড়ির গতিবেগ ধরার যন্ত্র। নাম স্পিডগান (স্পিড ডিটেক্টর ডিজিটাল মেশিন)। সড়কে গাড়ি সর্বোচ্চ গতিসীমা অতিক্রম করলেই স্পিডগান তা ধরে ফেলে। দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তখন ওই গাড়িকে আটক করেন।


বেপরোয়া গতির কারণে অনেক সময় সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয়। তাই গাড়ির বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে স্পিড ডিটেক্টর ডিজিটাল মেশিনের (স্পিডগান) ব্যবহার শুরু করেছে স্থানীয় হাইওয়ে পুলিশ। এখানে এই প্রথম ভিন্ন আঙ্গিকে স্পিডগান (গতি পরিমাপক যন্ত্র) ব্যবহার শুরু করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সরাইল বিশ্বরোড খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি হোসেন সরকার পিবিএ’কে জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মহাসড়কে দূর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক, ফিটনেস চেকসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় দুইদিন যাবত সড়কে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে পরিমাপক যন্ত্র বা স্পিডগানের ব্যবহার শুরু করা হয়েছে। এটিসহ সকল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এদিকে মহাসড়কে স্পিডগান সহ দায়িত্বপালনরত হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা পিবিএ’কে জানান, ‘হাইওয়েতে সর্বোচ্চ গতিসীমা থাকবে ৮০ কিলোমিটার। এর বেশি হলেই স্পিডগানে ধরা পড়বে। সঙ্গে সঙ্গে ওই গাড়ির ছবি প্রিন্ট হয়ে বের হয়ে আসবে। ধরা পড়া গাড়িকে জরিমানা করা হবে। জরিমানা আমাদের মূল উদ্দেশ্য নয়, সচেতন করাটাই মূল।

পিবিএ/এআইএস/হক

আরও পড়ুন...