সরাইলে জেলের রহস্যজনক মৃত্যু, ধামাচাপা দিতে মূল্য নির্ধারণ জনপ্রতিনিধির

sarail-dead-PBA

পিবিএ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে কালীকচ্ছ ইউনিয়নের ধর্মতীর্থ গ্রামের দৌলতপাড়ার বাসিন্দা অনিল দাসের ছেলে অধীর দাস (৪৫) সোমবার সকালে রহস্যজনক কারণে মারা যান। বর্তমানে তার লাশ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে আছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে তার লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে অধীর দাসের লাশ মর্গে রেখেই স্থানীয় কয়েকজন জনপ্রতিনিধি, গ্রাম্য মাতবর ও রাজনৈতিক নেতা সোমবার রাত পর্যন্ত বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে মিমাংসা করতে একাধিকবার বৈঠকে বসেন। কেউ কেউ এই লাশের মূল্য নির্ধারণে প্রস্তাবও দেন। থানাপুলিশ ম্যানেজ করতে টাকার রায় আসে বৈঠকে। সেই টাকা একজন জনপ্রতিনিধির কাছে জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন তারা।

অপরদিকে, পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তিটিকে হারিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওই পরিবারটি যখন শোকে পাথর, এ অবস্থায় প্রভাবশালী মাতবররা সেই পরিবারের শোকাহত লোক ও স্বজনদের বার বার ডেকে পাঠান, বিষয়টির নিস্পত্তিতে সম্মতিদানের জন্যে। এ অবস্থায় অসহায় পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে স্থানীয় অনেকে জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মফিজ উদ্দিন ভূইঁয়া পিবিএকে জানান, নিহত অধীর দাসের লাশ মর্গে রয়েছে। তারা বলছে অধীর বিদ্যুৎপিষ্ট হয়ে মারা গেছেন। কিন্তু আইও (পুলিশ অফিসার) জানিয়েছেন নিহতের শরীরে বিদ্যুৎপিষ্টের কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। লাশের ময়না তদন্তের পরই বিষয়টি পরিস্কার হবে। ওসি আরো জানান, শুনেছি গ্রামে তাদের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ আছে। এই মত্যু নিয়ে কিছু লোক সালিশ-বৈঠক করছেন এই খবর পুলিশের কাছে এসেছে। এ নিয়ে দু’একজন নেতা ফোনও করেছেন। এ ঘটনার সকল কিছুই পুলিশ পর্যবেক্ষণ করছে। সময়মতো পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অবশ্যই নিবে, তখন মিডিয়াও জানবে বলে ওসি জানান।

উল্লেখ্য, সোমবার সকালে মাছ ধরা শেষে অধীর দাস, গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ছায়েদ মিয়ার বাড়িতে রিকশার গ্যারাজ থেকে ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা আনতে যান। সেখানে তিনি বিদ্যুৎপিষ্ট হন বলে দাবি করা হয়। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পিবিএ/এফএস

আরও পড়ুন...