পিবিএ ডেস্ক: সুদানে নবগঠিত সামরিক কাউন্সিলের প্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী আওয়াদ ইবন আউফ পদত্যাগ করেছেন।ক্ষমতাগ্রহণের একদিন পরই তাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
সুদানের ৩০ বছরের শাসক ওমর আল-বশিরকে সরিয়ে দেয়ার পর যিনি সামরিক কাউন্সিলের প্রধান হয়েছিলেন, ক্ষমতা গ্রহণের একদিন পরে তাকেও পদত্যাগ করতে হয়েছে।
শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে একটি ঘোষণায় পদত্যাগ করার এই তথ্য জানান সামরিক কাউন্সিলের প্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী আওয়াদ ইবন আউফ।
সামরিক বাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আবদেল রাহমান বুরহানকে তার উত্তরসূরি ঘোষণা করা হয়েছে।
সামরিক কাউন্সিলের প্রধান মি. বশিরের ঘনিষ্ঠ, এই দাবি করে বিক্ষোভকারীরা রাস্তা ছাড়তে অস্বীকৃতি জানানোর পর এই পরিবর্তন এলো।
সেনাবাহিনী দাবি করছে, তারা ক্ষমতায় থাকতে চায় না এবং সুদানের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে আন্দোলনকারীদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী।
এদিকে, কারফিউ উপেক্ষা করে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখায় বিক্ষোভকারীদের উপর গুলিবর্ষণ করে ১৬জনকে হত্যা করেছে পুলিশ।আহত হয়েছে কমপক্ষে আরো ২০ জন।
৩০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা বশিরকে ক্ষমতাচ্যূত করে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করায় নতুন করে বিক্ষোভ শুরু করেছে সুদানের জনগণ।তারা সামরিক শাসনের পরিবর্তে বেসামরিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার দাবীতে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে।তাদের দাবী, নতুন সামরিক পরিষদের প্রধান বশিরের ঘনিষ্ঠ এবং এই সামরিক জান্তা বশিরের শাসনেরই ধারাবািহকতার অংশ।
বার্তা সংস্থা রয়টারের খবরে বলা হয়েছে, খার্তুমের বিক্ষোভকারীরা অভ্যুত্থান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। একটি গ্রুপ বলছে, অন্তর্বর্তী সামরিক সরকার প্রতিষ্ঠার এই ঘোষণা তারা প্রত্যাখ্যান করছে, কারণ তারা বেসামরিক লোকদের দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার চায়, সামরিক বাহিনীর লোকদের নয়।
দারফুর সংঘাতের সময় মি. ইবন আউফ ছিলেন সুদানের সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান।
ওই যুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্য মি. বশিরকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
তেল ও জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া কয়েকমাসের বিক্ষোভের জের ধরে ওমর আল-বশিরকে সরে যেতে হয়েছে।
বশিরের পদত্যাগের দাবীতে আন্দোলন চলার সময় অন্তত ৩৮জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে।
পিবিএ/এএইচ
