পিবিএ,ঢাকা: বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের সুযোগ বাড়াতে আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছর করপোরেট করহার কমানোর প্রস্তাব করেছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)। একই সঙ্গে করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে চার লাখ টাকা এবং ব্যক্তিশ্রেণির সর্বোচ্চ করহার ৩০ শতাংশ থেমে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এসব প্রস্তাব দেয় সংগঠনটি। সভায় এমসিসিআই’র ট্যারিফ-ট্যাক্সেশন কমিটির চেয়ারম্যান আদিব এইচ খান এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন। সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া সভাপতিত্ব করেন।
এসিআই’র চেয়ারম্যান আনিস উদ দৌলা বলেন, আয়কর আইনের বেশ কিছু সমস্যা ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে। সাধারণ নিয়মে আয় হলেই কেবল আয়কর দিতে হয়। তবে আমাদের দেশের আইনের কারণে লোকসানি প্রতিষ্ঠানকেও কর দিতে হয়। বেশি বেতনের কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে দ্বৈত কর পরিশোধ করতে হয়। আয়কর আইনের পারকিউজি হিসাবের কারণে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা বেতনভোগীকে নিয়মিত করের বাইরে আবার কর দিতে হয়। এটি আয়কর আইনের পরিপন্থি। বেতনের নামে কোম্পানিগুলো কর ফাঁকি দেওয়ায় এটি তুলে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানান এনবিআর সদস্য (করনীতি) কানন কুমার রায়। বিদেশি কর্মচারীদের বেতন প্রদানের ক্ষেত্রে স্থানীয় কোম্পানিগুলো এমনটি করছে বলে উদাহরণ দেন তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিবছরই ব্যবসায়ীদের অভিযোগ থাকে ব্যবসায়ীদের পরামর্শ বাজেটে প্রতিফলিত হয় না। আমরা এবার এ অভিযোগ থেকে বের হয়ে আসতে চাই। বাজেটে ব্যবসায়ীদের বাস্তবসম্মত প্রস্তাবগুলো রাখতে চেষ্টা করবে এনবিআর। তবে রাজস্ব আহরণের বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এনবিআরের লক্ষ্য হলো ব্যবসার সুযোগ করে দিয়ে রাজস্ব আহরণ। করপোরেট করহার কমানোর বিষয়টি সব মহল থেকেই দাবি করা হচ্ছে। আমরা পর্যালোচনা করে দেখছি।
পিবিএ/এফএস