পিবিএ,কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরকে দায়িত্ব পালনে বাধা ও ‘ম্যানার নেই’ ও ‘জুনিয়র শিক্ষক’ বলে শাসানোর অভিযোগ উঠেছে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামিমুল ইসলাম ও গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আমান মাহবুবের বিরুদ্ধে। দায়িত্ব পালনে বাধা পাওয়া শিক্ষকের নাম কাজী এম. আনিছুল ইসলাম। পহেলা ডিসেম্বর নির্বাচনে ভোট স্থগিত থাকার সময় এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচন এবার বিজ্ঞান অনুষদের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১ নম্বর রুমে অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল দল নির্বাচনের পরিস্থিতি দেখতে নির্বাচন কক্ষে ঢুকতে চাইলে শিক্ষকদের একটি পক্ষ বাধা দেন। এ সময় কাজী এম. আনিছুল ইসলাম নিজেকে সহকারী প্রক্টর পরিচয় দিয়ে ঢুকতে চাইলে অধ্যাপক শামিমুল ইসলাম ‘সো হোয়াট?’ বলে রুমে ঢুকতে বাধা দেন। এরপর তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আমান মাহবুব কাজী আনিছকে জুনিয়র শিক্ষক বলে শাসান এবং তার পরিবার তুলে কথা বলেন।
এ বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক কাজী এম আনিছুল ইসলাম বলেন, আমি যখন দেখলাম এখানে হট্টগোল হচ্ছে তখন আমার দায়িত্ব থেকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর হিসেবে পরিস্থিতি দেখতে আসি এবং খুব বিনয়ের সাথে দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা ২ জন শিক্ষককে বলি আমারে ভেরতে ঢুকতে দেয়ার জন্য। কিন্তু তারা আমাকে ঢুকতে না দিয়ে উল্টো আমার সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে বলতে চাই আমি প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালনে বাধাগ্রস্ত হয়েছি।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মো. শামীমুল ইসলাম বলেন, উনি এসে আমাকে বলছিলেন রুমের ভেতরে যাবেন তখন রুমে ভেতরে অনেক লোক ছিল। তাই আমি উনাকে বাহিরে দাঁড়াতে বলেছি।
একজন সহকারী প্রক্টরকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষকদের নির্বাচনে প্রক্টরের কোনো দায়িত্ব আছে বলে মনে হয় না। আমি উনার কর্মপরিধি সম্পর্কে জানি। আমার মনে হয় না আমি ভুল কিছু করেছি।
এ বিষয়ে প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর কোথাও নিরাপত্তা শঙ্কা মনে করলে সেখানে প্রক্টরিয়াল বডি যেতে পারে। এখানে নির্বাচন চলছে নাকি অন্য কিছু এগুলো দেখার কথা না।
এছাড়া ঘটনা পরবর্তী সময়ে ঘটনাস্থলে আমান মাহবুবকে না পেয়ে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এর আগে, শিক্ষকদের কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনে ১০৬ জন শিক্ষক স্বাক্ষরিত একটি অনাস্থা পত্র দেয়া হলেও তা আমলে না নিয়েই নির্বাচনের আয়োজন করে শিক্ষকদের একটি অংশ।