পিবিএ,গাইবান্ধা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার আদিবাসী পল্লীতে পুলিশের গুলিতে নিহত তিন সাঁওতাল শ্যামল, মঙ্গল ও রমেশ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত গোবিন্দগঞ্জের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদসহ সকল আসামীদের গ্রেফতারসহ ৭দফা দাবিতে ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচী পালন করা হয়।
গাইবান্ধার সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম-ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি, আদিবাসী বাঙালী সংহতি পরিষদ, বাংলাদেশ আদিবাসী ইউনিয়ন, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ ও জনউদ্যোগ যৌথভাবে অয়োজিত অবরোধ কর্মসূচীটি শনিবার সকাল ১১টায় এই কর্মসূচী শুরু হয় চলে দুপুর পর্যন্ত । পরে দুপুর ১ টার দিকে প্রশাসনের আশ্বাসে প্রেক্ষিতে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
অবরোধ কর্মসূচী চলাকালে বক্তব্য রাখেন সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম-ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাসকে,সাধারণ সম্পাদক জাফরুল ইসলাম প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন শেখ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পাটির গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সভাপতি তাজুল ইসলাম,আদিবাসী নেতা থমাস হেমব্রম, প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন ঘটনার দুই বছর অতিবাহিত হলেও তিন সাঁওতাল হত্যাকান্ডের মামলার কোন অগ্রগতি নেই। বক্তারা অবিলন্বে সাবেক এমপি, আবুল কালাম আজাদ, চেয়ারম্যান শাকিল আকন্দ বুলবুলসহ মামলা এজাহারভূক্ত সকল আসামী গ্রেফতারের জোর দাবি জানান। এসময় বক্তারা বলেন বাপদাদার সম্পত্তি ফেরৎ, ঘটনার দিন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যকারে যে নির্যাতন করা হয়। এঘটনার শাস্তির জন্য সরকার বিভিন্ন সময়ে নানা ধরণের আশ্বাস দিলেও কোন কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। বক্তারা বলেন সরকার দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ না নিলে বৃহত্তর কর্মসচী ঘোষণা করা হবে। পরে দুপুর একটার দিকে গোবন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামকৃষ্ণ বর্মনসহ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন অবরোধকারীদের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগের আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার আদিবাসী পল্লীতে পুলিশের গুলিতে নিহত তিন সাঁওতাল শ্যামল, মঙ্গল ও রমেশ হত্যাকান্ডের বিচার, তাদের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতনের ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তিসহ ৭দফা দাবি জানিয়ে আসছে আদিবাসী সাঁওতাল ও বাঙ্গালিরা।
পিবিএ/জেকে/হক