পিবিএ,রাজশাহী: রাজশাহী পদ্মা নদীর বাধঁ ভেঙ্গে অবৈধ্য বালু ব্যবসায়িদের সিন্ডিকেট। সংবাদ সংগ্রহের সময় এশিয়ান এজ এবং আনন্দ টিভির সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দিয়েছে চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতি সম্রাট। নিরাপত্তা জনিত কারণে সম্রাটের বিরুদ্ধে গতকাল আজ শনিবার দুপুরে চারঘাট মডেল থানায় একটি অভিযোগ (জিডি নং ৬৮৯) করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর অনুমান ১২ টার সময় বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চারঘাট শাখার সদস্য সোহেল হোসেন এই পত্রিকার সাংবাদিককে খবর দেয়। উপজেলার স্থানীয় বিএনপি এবং আ’লীগের নেতা কর্মীদের সমন্বয়ে চকমুক্তারপুর সরকারপাড়ার ১৫০ গজ পশ্চিম-উত্তরে পদ্মা নদীর বাধেঁর স্লাপ তুলে পানির লাইন করছে। তদুপরি তীরবর্তী অবৈধ্য ভাবে বালু ব্যবসা করার নতুন পয়েন্ট তৈরী করছে।
সরজমিনে গিয়ে এর সত্যতা প্রমান পাওয়া যায়। ওই সময় পত্রিকার সাংবাদিক একটি স্যামস্যাং মোবাইল ট্যাব দিয়ে ঘটনাস্থলের ছবি তুলেন। কিন্ত কিছু সন্ত্রাসী দলবদ্ধ ভাবে মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে সব ছবি গুলো মুছে ফেলে। যথাসময়ে উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের সভাপতি সম্রাট পত্রিকার সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হত্যা করে পদ্মা নদীতে ভাসিয়ে দিবে বলে হুমকি দিয়েছে। সে আরো বলে, অনেক থুন করেছে তোর মত সাংবাদিককে খুন করলে আমার কিছুই হবে না। ওই ঘটনার সকল বিষয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চারঘাট শাখার যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ রানা ও সদস্য সোহেল হোসেন সাংবাদিককের সাথে উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি কাজি মাহমুদুল হাসান (মামুন) এর সাথে কথা বললে সে জানায়, ইতোপূর্বে তার বিভিন্ন অসদাচারণের কারনে সম্রাটকে দল থেকে বহিঃস্কার করা হয়েছে। এছাড়া পৌর আ’লীগ সভাপতি সাজ্জাত হোসেন বলেন, অবৈধ্যভাবে বালু উত্তলোন করা যাবে না, তাছাড়া নদীর বাধেঁরও ক্ষতির আশঙ্কা আছে।
সার্বিক বিষয়ে জানার পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আনিছুর রহমান এবং থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সকল তদন্ত শেষে অপরাধিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানন ইউএনও মুহাম্মদ নাজমুল হক।
পরিশেষে উপজেলা চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সম্পাদক ফকরুল ইসলা ও উপজেলা আ’লীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন গনমাধ্যমকে বলেন, ওই বালুর পয়েন্ট অবৈধ্য। তাছাড়া পদ্মা নদীর স্লাপ তুলে ড্রেনেজ করা উপরাধ মূলক কাজ। সর্বপরি সাংবাদিকদের সাথে অসাদাচাররণ নিন্দা জনক। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পিবিএ/বিএইচ