ঢাকা সিটি নির্বাচন

সাংবাদিকদের ওপর কেন এই হিংস্রতা?

মুহাম্মদ আবদুল্লাহ: ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় এরই মধ্যে অন্তত ৬জন সাংবাদিক আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সবচেয়ে ভয়াবহ বর্বরতার শিকার হয়েছেন সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান সুমন। তার অবস্থা আশংকাজনক। এছাড়া মামলার শিকার সাংবাদিকরা হচ্ছেন, নয়া দিগন্তের শামসুল ইসলাম, ইনকিলাবের ফারুক হোসেন ও জাহিদুল ইসলাম, পরিবর্তন ডটকমের এবং বার্তাসংস্থা পিবিএর জিসাদ ইকবাল।

মোহাম্মদপুরের জাফরাবাদে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে সাংবাদিক
মোস্তাফিজুর রহমান সুমনকে। আশংকাজনক অবস্থায় এখন সুমন। শিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে। কাউন্সিলর প্রার্থী খোকনের (টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক) সমর্থকরা অস্ত্র নিয়ে ঘুরছিল। সেই ছবি তুলছিল মোস্তাফিজ। এটি দেখামাত্র অস্ত্র দিয়েই তার মাথায় আঘাত করা হয়। এরপর সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

রাজধানী টিকাটুলী কামরুন নেছা ‍ উচ্চ বিদ্যালয়ে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেয়ার ছবি তোলার সময় পরিবর্তন ডটকমের ফটোসাংবাদিক ওসমান গনিকে মারধর করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তার মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা কেড়ে নেয়া হয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের খবর সংগ্রহের সময় অওয়ামীলীগ প্রার্থী ইসহাক মিয়ার সমর্থকদের হাতে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন সাংবাদিক জিসাদ ইকবাল। তিনি বার্তাসংস্থা প্রেস বাংলা এজেন্সি- পিবিএ’র বিশেষ প্রতিনিধি ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের স্থায়ী সদস্য। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নং ওয়ার্ডে নিকুঞ্জের জান-ই-আলম সরকার উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল সাড়ে দশটার দিকে তিনি হামলার স্বীকার হন ।

এদিকে দক্ষিণ সিটির মাদারটেক আবদুল আজিজ স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে লাঞ্ছিত হয়েছেন নয়া দিগন্তের শামসুল ইসলাম এবং ইনকিলাবের ফারুক হোসেন ও জাহিদুল ইসলাম। সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা তাদের কাছ থেকে নির্বাচন কমিশনের পাশ কেড়ে নিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়।

লেখক: মহাসচিব,বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ।

আরও পড়ুন...