পিবিএ ডেস্ক: হঠাৎ করে সাংবাদিকদের ওপর হামলা-ও ডিজিটাল আইনে একের পর এক মামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন-বিওজেএ ।
বৃহস্পতিবার (৭ মে) এক বিবৃতিতে বিওজেএ’র কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদ ইকবাল ও সাধারণ সম্পাদক এম ইব্রাহিম সরকার এ দাবি জানান ।
সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক ফকির আব্দুল্লাহ আল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বিওজেএ’র নেতৃদ্বয় বলেন, দেশব্যাপী ২০১৮ সাল থেকে শুরু করে গত এপ্রিল পর্যন্ত ১৮০ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও ৫৭ ধারায় মামলা হয়েছে। এ সকল মামলায় সাংবাদিকদের যে সিস্টেমে গ্রেফতার ও নির্যাতন করা হয়েছে তা কলঙ্কিত কালো অধ্যায় । সম্প্রতি সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে নিয়ে যেসব বর্বরোচিত কান্ড ঘটে গেল ।
তারা বলেন, বিডি নিউজ ও জাগো নিউজ সম্পাদকদ্বয়ের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা, নরসিংদীতে তিন সাংবাদিককে গ্রেফতার এবং সিলেটে একটি পত্রিকার সম্পাদক মাহতাবকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে।মহামারি করোনাকালে যখন একদিকে সবাই অসহায় হয়ে পড়েছে, অপরদিকে চলছে লুটপাট এবং সাংবাদিকদের ওপর জুলুম-নির্যাতনের তুফান ।
বিওজেএ’র নেতৃদ্বয় বলেন, মহামারির এ করুণ সময়ে সাংবাদিকরা কতটা ঝুঁকি নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন, অনেকেরই ঘরে ঠিকমতো চুলা জ্বলছে না । বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো গণমাধ্যম ছাড়া অচল, সেক্ষেত্রে সরকারের উচিৎ ছিল সাংবাদিকদের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়া । কিন্তু সেসবের বিপরীতে গণমাধ্যম নিয়ে দেশে যে ধরনের ব্যবস্থাপনা কায়েম রয়েছে তাতে মনে হয় সাংবাদিকরা এ ভূখন্ডের অলিখিত ভাসমান নাগরিক! অবিলম্বে সরকার এবং সকল বিশেষ মহলের প্রতি সাংবাদিক বান্ধব পরিবেশ তৈরির বজ্র আহবান জানিয়ে নেতারা বলেন, কোনো কালেই সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবীদের ওপর অবিচার করে কেউ সুখী হতে পারেনি ।
বিওজেএ’র নেতারা বলেন, সাংবাদিকরা জেগে উঠলে তখন অনেকেরই ঘুমের ওষুধ খেয়েও আর ঘুম আসবে না ।
পরিশেষে সাংবাদিক নেতারা সকল সাংবাদিকদের প্রতি বিনীত আহবান জানিয়ে বলেন, যেখানেই থাকুন, বাঁচার মতো বাঁচতে হলে সকল ভেদাভেদ ভুলে নিজেদের মধ্যে ঐক্যের পরিবেশ তৈরি করুন । সাংবাদিকতার অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনুন।
পিবিএ/এমএসএম