পিবিএ, ঢাকা: সদ্য শেষ হওয়া ঢাকার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। একই সঙ্গে সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা এসব দাবি জানান।
সমাবেশে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকদের সংকটকালীন সময় পাশে দাঁড়িয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি। যেমন দাঁড়িয়েছিল সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে। দেশে যেকোনো সময় সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হই আমরা।
‘যে সরকার ক্ষমতায় থাকছে, সে সময়ই আমরা নিগৃহীত হচ্ছি। এখন সময় এসেছে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হতে পারি তাহলে রাষ্ট্র অবশ্যই আমাদের বিষয়টি নিয়ে ভাববে। নিরাপত্তা দেবে।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ বলেন, সিটি নির্বাচনের দিন পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ১০ থেকে ১১ জন সাংবাদিকের ওপর হামলা করা হয়েছে। আজ থেকে আট বছর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে সাগর-রুনি দম্পতিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। কিন্তু এখনও এর বিচার হয়নি।
‘এবারও সেই ফেব্রুয়ারিতেই সাংবাদিক সুমনসহ আমাদের সহকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এটা কোনোমেতেই কাম্য নয়। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
আগামী শনিবারের (০৮ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে সুমনসহ সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের আইনের আওতায় না আনা হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব শাবান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় আমরা এখনও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যবস্থা পাইনি। স্বাধীনতার পর কমপক্ষে ৩০জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। বিচার হয়েছে মাত্র একটি হত্যাকাণ্ডের।
‘এ পর্যন্ত আমাদের যত সহকর্মী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছেন-এসব ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করছি। বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা বাড়ি ফিরে যাবো না।’
সমাবেশে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকুর আলী শুভ, সাংবাদিক নেত্রী রিতা নাহার, আলমগীর হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
পিবিএ/এমআর