সাংবাদিকের “মানবতার দেয়াল”এমপি রেখে গেলেন পোশাক

পিবিএ,গুরুদাসপুর (নাটোর): নাটোরের গুরুদাসপুরে “মানবতার দেয়ালে” নিজের ব্যবহৃত পোশাক রেখে গেলেন নাটোর-৪ আসন (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) এর স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ মো.আব্দুল কুদ্দুস। তার সঙ্গে গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মিজানুর রহমান ও গুরুদাসপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো.আনোয়ার হোসেনও তাদের পোশাক সেখানে রেখে যান।

“মানবতার দেয়াল”
“মানবতার দেয়ালে” নিজের ব্যবহৃত পোশাক রাখছেন সংসদ সদস্য আলহাজ মো.আব্দুল কুদ্দুস

বুধবার সকাল ৮টায় মহান মে দিবসের পোগ্রামে আসেন তারা সবাই। হঠাৎ সাংসদ আব্দুল কুদ্দুসের চোখে পড়ে যায় “মানবতার দেয়াল”। সেখানে লেখা আছে “বিবেক কে জাগ্রত করুন,সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন”।“মানবতার দেয়াল”আপনার এবং আপনার পরিবারের অপ্রয়োজনীয় পোশাক গুলো এখানে রেখে যান। আপনার রেখে যাওয়া পোশাক গুলো আমরা পৌছে দিবো হত দরিদ্র পরিবারের মাঝে এবং আপনার এলাকার হত দরিদ্র মানুষদের সন্ধান দিন। এমন লেখা দেখেই মানবতার দেয়ালের দিকে এগিয়ে যান তিনি।

দেয়াল দেখেই তিনি তার দুটি পাঞ্জাবী একটি তার গায়ে অন্য টি তার গাড়িতেই রাখা। গাড়ি থেকে তার ব্যবহার করা নতুন একটি পাঞ্জাবী নিয়ে গিয়ে মানবতার দেয়ালে রাখেন। তার সঙ্গে ইউএনও,উপজেলা চেয়ারম্যান ও তাদের পোশাক সেখানে রাখেন। তিনি বলেন হত দরিদ্র মানুষের পাশে আমি সব সময় ছিলাম এখনও আছি, যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন তাদের পাশেই থাকবো। তিনি স্বাগত জানান মানবতার দেয়ালের উদ্যোক্তা গুরুদাসপুর দরিদ্র ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাংবাদিক নাজমুল হাসান নাহিদকে।

তিনি সবার উদ্দ্যেশ্যে বলেন আপনাদের অপ্রয়োজনীয় পোশাক গুলো এখানে রেখে যাবেন। দরিদ্র ফাউন্ডেশনের সদস্যরা এখান থেকে নিয়ে হত দরিদ্র পরিবারের মাঝে পৌছে দিবে। মানবতার দেয়ালের উদ্যোক্তা গুরুদাসপুর দরিদ্র ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাংবাদিক নাজমুল হাসান নাহিদ বলেন, আমাদের ফাউন্ডেশনের উদ্দ্যেশ্য হত দরিদ্র মানুষদের নিয়ে কাজ করা। আমাদের “মানবতার দেয়াল” পোগ্রাম দিয়েই যাত্রা শুরু।
এখানে রেখে যাওয়া পোশাক গুলো আমাদের দরিদ্র ফাউন্ডেশনের সদস্যরা দিন শেষে নিয়ে ধোপার কাছে দিবে।

সেখান থেকে পরিষ্কার করে লন্ডি করে হত দরিদ্র পরিবারে মাঝে পৌছানো হবে। হত দরিদ্রদের নিয়ে আমাদের অনেক উদ্যোগ আছে। আগামীতে ধীরে ধীরে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। তবে সকলের সহযোগীতা পেলে আমরা আরো অনেক দুর এগিয়ে যেতে পারবো। হত দরিদ্র মানুষদের পাশে সব সময় থাকতে পারবো।

পিবিএ/এনএইচএন/আরআই

আরও পড়ুন...