সাইপ্রাস উপকূলে নৌমহড়া নিয়ে তুরস্ক-ইউরোপ মুখোমুখি

তুর্কি জাহাজ ইয়াভুজ। ছবি: এএফপি

পিবিএ ডেস্ক: ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও গ্রিসের সঙ্গে উত্তেজনা সত্ত্বেও সাইপ্রাস উপকূলে নৌমহড়া অব্যাহত রাখার দৃঢ়সঙ্কল্প ব্যক্ত করেছে তুরস্ক। বার্তা সংস্থা এএফপি ও আল-আরাবিয়ার খবরে এমন তথ্য জানা গেছে।

বুধবার ১০জুলাই দেশটি যখন এই মহড়ার কথা জানায়, তখন এটাকে অবৈধ আখ্যায়িত করে মহড়া থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপ ও গ্রিস।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্য বলছে, সাইপ্রাস সংকট নিয়ে ইউরোপ কখনোই নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী হতে পারে না।

এ নিয়ে তুরস্কের সাথে ইউরোপের উত্তেজনা দেখা দেয়। সোমবার সাইপ্রাসের পূর্বে তুর্কি জাহাজ ইয়াভুজ নোঙর ফেলার পর এই উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পায়।

এক বিবৃতিতে তুরস্ক বলছে, ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপটির পশ্চিমে তুরস্কের ফাতিহ জাহাজ মহড়ার তৎপরতা চালিয়ে আসছে। গত মে মাসেই শুরু হয়েছে এই মহড়া। তবে সম্প্রতি সাইপ্রাসের পূর্বে ইয়াভুজ জাহাজ এসেছে।

সাইপ্রাসের দক্ষিণে কারপাসিয়া উপদ্বীপে সোমবার নোঙর ফেলেছে ইয়াভুজ। তবে নতুন এই মহড়ার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে নিকোসিয়া। বিরূপ বক্তব্য ও হুশিয়ারি এসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকেও।

ইতিমধ্যে তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে বৈঠকে বসেছে ইউরোপীয় কূটনীতিকরা।

গত জুনে ইউরোপীয় নেতারা দ্বীপটির জলপথে নৌমহড়া বন্ধে তুরস্ককে কড়া হুশিয়ারি দিয়েছে। আর বন্ধ না করলে যথাযথ পদক্ষেপের মুখোমুখি হতে হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

জবাবে দেয়া বিবৃতিতে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, গ্রিসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইউরোপীয় নেতাদের বিবৃতি আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। কারণ তাদের বিবৃতিতে আমাদের তৎপরতাকে অবৈধ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

গ্রিস-প্রণোদিত সংক্ষিপ্ত অভ্যুত্থানের পর তুরস্কের অভিযানে ১৯৭৪ সালে বিভক্ত হয়ে যায় সাইপ্রাস। এর পর বেশ কিছু শান্তিচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। পরবর্তী সময়ে দেশটির উপকূলীয় সম্পদ আবিষ্কারের পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যায়।

সাইপ্রাসের সঙ্গে আঙ্কারার কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তাদের দাবি, ইইজেড নামে পরিচিত সাইপ্রাসের নৌ অঞ্চলের একটি নির্দিষ্ট এলাকায় তুরস্ক কিংবা তুর্কিশ সাইপ্রিয়টদের অধিকার রয়েছে।

দ্বিপের উত্তরে তুর্কিশ সাইপ্রিয়টরা আলাদা একটি রাষ্ট্র দাবি করছে, যেটাকে কেবল তুরস্ক স্বীকৃতি দিয়েছে। বুধবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কূটনীতিকরা বৈঠকে বসেছে।

এ মহড়া শুরু করায় দায়ে তুরস্কের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হচ্ছে।

পিবিএ/এএইচ

আরও পড়ুন...