আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দলটির সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে লাগাতার মামলা হচ্ছে। যার ধারাবাহিকতায় হত্যা মামলায় নাম আসে জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানেরও। এটা নিয়ে পুরো দেশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
এবার সাকিবের মামলা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সাবেক ফুটবলার ও বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হকের প্রসঙ্গে টেনে আনেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আমিনুল হকের মামলার সময় দেশের সংবাদমাধ্যম চুপ ছিল বলে মনে করেন তিনি। ২০০৩ সাফজয়ী জাতীয় দলের গোলরক্ষক, সাবেক অধিনায়ক ও বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় আমিনুলকে নিয়ে মামলার বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘এটাও আওয়ামী লীগই তো শুরু করেছে, ঠিক না? আমিনুল যে ফুটবলার, সাকিব তো আর বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য কিছু বয়ে আনে নাই। সাকিব নিজেই অনেক কিছু অর্জন করেছে। আমিনুল তো বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য পুরস্কার বয়ে এনেছিল। এনেছিল না? জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন ছিল। আমিনুলকে যেভাবে অত্যাচার করা হয়েছে, তখন কি আপনারা প্রশ্ন করেছিলেন? আমিনুলকে তো জেলে ভরা হয়েছে, সাকিবের বিরুদ্ধে জাস্ট মামলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমিনুলকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছে, দিনের পর দিন জামিন দিচ্ছিল না। দিনের পর দিন। আমি নিজে শুধু পত্রিকায় কলাম লিখেছি। আপনাদের কাউকে লিখতে দেখি নাই, আপনাদের পত্রিকায়। একটা জাতীয় দলের (ফুটবলার) বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সাফ গেমসে (ফুটবলে) তার ইয়েতে চ্যাম্পিয়নশিপে। গ্রেপ্তার করেছে দিনের পর দিন জামিন রিজেক্ট করেছে।’
তবে আমিনুলের মতো এই ভোগান্তি সাকিবের যাতে ভোগান্তি না হয়, সেটা খেয়াল রাখা হবে, এ রকম আশ্বাস দিয়েছেন আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘এটা পুলিশ প্রশাসনের ব্যাপার। আমাদের আমরা যতটুকু বলার, বলার চেষ্টা করেছি। মামলা হওয়া বা এফআইআর হওয়া মানেই তো গ্রেপ্তার না। আমার বিশ্বাস, আমাদের মানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে, যাতে কেউ অতি উৎসাহিত হয়ে গ্রেপ্তার না করতে যায়।
তিনি বলেন, আমি আশা করি, সাকিব গ্রেপ্তার হবে না। আমি যত দূর জানি আমাদের পুলিশ বাহিনীকে বলা আছে যে অ্যাপারেন্টলি অবিশ্বাস্য কিছু হলে, যতটা পারা যায় আইনের মধ্যে থেকে রিস্টেইন বজায় থাকায় যায়।’