এস,এম,হাবিবুল হাসান: সাতক্ষীরা দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলএকটি কৃষি নির্ভর জেলা । এ জেলায চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা। করোনা পরিস্থিতিতে একদিকে যেমন শ্রমিক পেতে ভোগান্তি, অন্যদিকে ধানের দাম নিয়েও রয়েছে শংকা। তবে কৃষকদের ধান কাটা এবং সরকারীভাবে ধান ক্রয়ের সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে এ জেলায় ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ৭৫ হাজার হেক্টর জমিতে। গতবারের তুলনায় এবছর বোরো ধানের ভাল ফলন হওয়ায় কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসি। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস ভাবিয়ে তুলেছে তাদের, কেড়ে নিয়েছে তাদের মুখের সেই হাসি। কোথায় পাবে ধান কাটা শ্রমিক, আর কোথায় বা বিক্রি করবে এসব ধান তা নিয়ে যেন তাদের দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। তবে, চাষিদের দাবি সরকার এ ব্যাপারে কৃষকদের পাশে এসে দাঁড়াবে। তাদের উৎপাদিত ধান সুলভমূল্যে কেনার ব্যবস্থা করবে। তাহলে বাঁচবে কৃষক ও কৃষি।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রক্ষ্মরাজপুর বাজারের ধান ব্যবসায়ী ও চাতাল মালিক মোস্তাক আহমেদ জানান, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারনে শ্রমিক সংকট ও আনুষঙ্গিক খরচ বেশি হওয়ায় সরকারের বেধে দেওয়া রেটে চাল বিক্রি সম্ভব না হওয়ায় অধিকাংশ চাতাল মালিকরা বন্ধ রেখেছে তাদের চাতাল।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবদি মো. নূরুল ইসলাম জানান, সকল প্রতিকুলতা কাটিয়ে এবার বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, কৃষকদের ধান ঘরে তুলতে শ্রমিক সহযোগিতার পাশাপাশি ধানে ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করণে মধ্যস্বত্বভোগীদের কঠোর হাতে দমন করা হবে।
পিবিএ/এস,এম,হাবিবুল হাসান/এএম