সাতক্ষীরায় শাহেদের কিছুই নেই, জনমনে ক্ষোভ


এস এম হাবিবুল হাসান, সাতক্ষীরা : কোথাও কেউ নেই। সাতক্ষীরার ছেলে বলা হলেও সেখানে শাহেদের কেহ নেই। সাতক্ষীরার ছেলে বহুলালোচিত রিজেন্ট শাহেদ করিম। ঢাকায় গিয়ে হয়েছেন মো. শাহেদ। শাহেদের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা পৌর শহরের কামাননগরে। এখানে বর্তমানে তার আর কোন কিছুই নেই। সব বিক্রি করে অনেক আগেই তারা পাড়ি জমিয়েছেন ঢাকায়।

সাহেদের বাবার নাম সিরাজুল করিম ও মায়ের নাম মিসেস সাফিয়া করিম। এক সময় তার মা সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা ছিলেন।

সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্য সেবার নামে শাহেদ যেভাবে মানুষকে প্রতারনা করেছে এটি নিঃসন্দেহে লজ্জাজনক ও দুঃখ জনক। আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগের মাধ্যমে এ ধরনের প্রতারকের শাস্তি হওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

স্থানীয় বয়জ্যৈষ্ঠদের কাছ থেকে জানা গেছে, শাহেদের বাবা ভারত থেকে এসে সাতক্ষীরায় বসবাস শুরু করেন। তাছাড়া এখানে তাদের আর কোন আত্মীয় স্বজন নেই বলে জানা গেছে।

তবে, সাতক্ষীরার আপামর মানুষ আলোচিত এই মো: শাহেদের ঘৃণীত অপরাধের দায়িত্ব নিতে রাজি নয়। তাকে বেশীরভাগ মানুষ না চিনলেও সবাই এক বাক্যে তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেছেন।

এদিকে, বাংলাদেশ পুলিশসহ সরকারের বিভিন্ন বিভাগ শাহেদের ব্যাপারে অধিকতর তদন্তে নেমেছেন। সাতক্ষীরার দলীয় নেতাকর্মীসহ প্রত্যেকেই তার অপকর্মের শাস্তি দাবি করেছেন।

এদিকে পুলিশ তার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহে এবং তার অপরাধ কর্মকান্ডের ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছেন।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, শাহেদের বাবা সিরাজুল করিম ও মা মিসেস সাফিয়া করিম শাহেদের অনৈতিক কর্মকান্ড ও তার বিরুদ্ধে মামলার পাহাড় নিয়ে বেশি চিন্তিত ছিলেন। শাহেদ বরাবরই ঢাকাতে থাকতো সাতক্ষীরায় আসতো কম। সাতক্ষীরার মানুষ তার বিরুদ্ধে তেমন কিছুই জানতো না। তার ভিন্নধর্মি শারিরীক অবয়ব ও টেলিভিশন টকশো’তে তাকে দেখে চিনতো, কিন্তু শাহেদ করিম যে সাতক্ষীরার ছেলে সেটা বেশীরভাগ মানুষ জানতো না। তার মা মারা যাওয়ার পর তার বাবা অনেক আগেই তাদের নামে শহরের প্রাণকেন্দ্রে কামালনগরে করিম সুপার মার্কেট ও তাদের বসতভিটা ছিল তা বিক্রি করে স্থায়ীভাবে সাতক্ষীরা ছেড়ে ঢাকায় চলে যান।

তাকে মানুষ কমবেশি টেলিভিশন টকশোতে দেখেছে, কিন্তু সে যে সাতক্ষীরার মানুষ, তা ছিল সবারই অজানা।
সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন জানান, শাহেদকে সাতক্ষীরা বাসী যতটুকু চেনে,সবাই প্রতারক হিসেবে চেনেন। তারা এই প্রতারকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানান।

 

পিবিএ/এস,এম,হাবিবুল হাসান/এমএ

আরও পড়ুন...