সাতক্ষীরায় ৩য় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টায় আটক ২

পিবিএ,সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কেঁড়াগাছি গ্রামে ৩য় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ভুবাল কুমার ঘোষ ও ইমরান হোসেন নামে ২ যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার কেঁড়াগছি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা হলেন-উপজেলার কেঁড়াগাছি গ্রামের অনন্ত কুমার ঘোষের ছেলে ভুপাল কুমার ঘোষ (২৩) ও একই গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে ইমরান হোসেন (১৯)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়-মেয়েটি তার ছোট ভাইকে নিয়ে বাড়ির পাশে মাঠে খেলা করছিলো। এমন সময় মেয়েটির আশেপাশে অভিযুক্ত ভুপাল ও ইমরানকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ পর ইমরান ও ঘাতক ভুপাল কুমার সুযোগ বুঝে মেয়েকে ১০০ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে পাশের ঝোপঝাড়ে নিয়ে (খেজুর বাগান) অসৎ উদ্দেশ্য সফল করার চেষ্টা করে।

মেয়ের বাবা পিবিএ’কে জানান-শুক্রবার বিকালে বাড়ির পাশে মাঠে কৃষি ক্ষেতে তিনি কাজ করছিলেন। এমন সময় কৃষি ক্ষেত থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে তার মেয়ে ও ছোট ছেলে (৫ বছর) খেলা করছিল। সন্ধ্যার কিছুক্ষণ পূর্বে মেয়েটি যখন হায়েনার লালসার শিকারে পরিণত হয়ে কাদছিল তখন সাথে থাকা ছোট ভাইটি কাঁদতে কাঁদতে চিৎকার করে আমাকে (বাবাকে) ডাক দেয়। বাবা ছুটে আসতে আসতে ঘাতক ভুপাল ও ইমরান দৌড়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মুহিদুল ইসলাম গাজী জানান, মেয়ের বাবা শনিবার সকালে তার কাছে অভিযোগ করলে, তিনি গ্রাম পুলিশ দিয়ে ঘাতক ভুপাল কুমার ও তার বন্ধু ইমরান হোসেনকে আটক করে কলারোয়া থানা পুলিশকে খবর দেন।
কলারোয়া থানার এসআই রইচ উদ্দীন ও এএসআই মোস্তাক আহম্মেদ ঘটানা স্থলে উপন্থিত হয়ে অভিযুক্তদের আটক করে থানায় নিয়ে যান।

রোববার সকালে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মুনীর-উল-গীয়াস জানান, ৮ জুন অভিযুক্তদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কলারোয়া থানায় মামলা ১০(০৬)১৯ হয়েছে। রোববার (৯ জুন) আসামীদের আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।

পিবিএ/জেএ/হক

আরও পড়ুন...