পিবিএ,ঢাকা: অন্ধকারে বিদ্যুতের আলো ছাড়া আমাদের এখন আর চলেই না। শুধু সন্ধ্যা হলেই নয়, কৃত্রিম আলো আমাদের অনেকেরই সারাদিনের সঙ্গী। সারা বিশ্বের অসংখ্য মানুষ এখন নানাধরনের কৃত্রিম আলোতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে।
তবে গবেষকরা বলছেন, কৃত্রিম আলো আমাদের জন্য মোটেই ভালো নয়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ইনডিপেনডেন্ট। কৃত্রিম আলো আমাদের স্বাস্থ্যহানি ঘটাচ্ছে বলে উঠে এসেছে এক গবেষণায়। গবেষকরা জানান, আমরা অনেকেই কৃত্রিম আলোতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি।
যদিও কৃত্রিম আলোর কারণে নানা ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অতীতে সভ্যতার আলো আসার আগে মানুষ দিনের আলোতে কাজ শুরু করত এবং সন্ধ্যা হলে কাজ সমাপ্ত করে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিত, সেটাই ছিল শরীরের জন্য আদর্শ। তবে পরবর্তীতে কৃত্রিম আলো আবিষ্কার হওয়ার পর মানুষ ক্রমে তাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে।
এখন আর সন্ধ্যায় অন্ধকার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ ঘুমিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয় না। কৃত্রিম আলো ব্যবহার করে বহুক্ষণ মানুষ সজাগ থাকে। অনেকে আবার সারা রাত কাজ করে এবং দিনের আলোতে ঘুমিয়ে থাকে। এ পরিস্থিতিকে গবেষকরা সবচেয়ে বিপজ্জনক বলে মনে করছেন।
কৃত্রিম আলো কিভাবে আমাদের স্বাস্থ্যহানি ঘটাচ্ছে? এ প্রশ্নে গবেষকরা জানান, এটি আমাদের মাংসপেশিকে দুর্বল করে দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, কৃত্রিম আলো আমাদের হাড়কেও ভঙ্গুর করে তুলছে। সম্প্রতি একটি গবেষণা করা হয়েছে ইঁদুরের ওপর।
তাতে কয়েকটি ইঁদুরকে টানা ছয় মাস আলোতে রাখা হয়। এরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় দেখা যায়, সেগুলো মাংসপেশির মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া হাড়ের একটি বিশেষ অবস্থা অস্টেওপরোসিসেও তারা আক্রান্ত হয়েছে। এ ছাড়া তাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও আগের তুলনায় খুবই কম দেখা যায়।
গবেষণাটির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে কারেন্ট বায়োলজি জার্নালে। এ বিষয়ে গবেষণাটিতে গবেষকদের দলনেতা ছিলেন নেদারল্যান্ডসের লেইডেন ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারের প্রফেসর জোয়ানা মেইজের। তিনি বলেন, আমরা এ বিষয়টি চিন্তা করতে শুরু করেছি যে, আলো ও অন্ধকার আমাদের কোনো ক্ষতি করে না। যদিও বিষয়টি সঠিক নয়। আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাকৃতিক চক্রের ব্যাঘাত ঘটলে বহুধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যা সৃষ্টি হয়।
পিবিএ/ইকে