সাব রেজিষ্ট্রারের দূর্নীতির প্রতিবাদে দলিল লিখকদের সংবাদ সম্মেলন

পিবিএ,মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জ সদর সাব-রেজিষ্ট্রার মাইকেল মহিউদ্দিন আব্দুল্লাহর অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারীতা ও দূর্নীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভুগী জনগন ও দলিল লেখকরা। সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রতি বেআইনীভাবে বরখাস্তকৃত দলিল লিখক ও ভুক্তভোগী জনসাধারণ তাদের অভিযোগ সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন করা হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, দূর্নীতিবাজ ও স্বেচ্ছাচারী এই সাব রেজিষ্ট্রার মুন্সীগঞ্জে দায়িত্ব পালনের শুরু থেকেই দলিল লিখক ও সাধারণ জনগনের সাথে বিদ্বেষমূলক আচরন করে আসছেন। তার অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারীতার ও দলিল লিখকদের সাথে খারাপ ব্যবহারের প্রতিবাদে ২০১৮ এর প্রথম সপ্তাহে দলিল লিখক সমিতি ৭ দিনের কর্মবিরতি পালন করে। এই ৭ দিন সরকারের রাজস্ব আদায় হয়নি মুন্সীগঞ্জ সদর সাব-রেজিষ্ট্রার অফিস থেকে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সেই সময় প্রতিনিয়ত তার কর্মকান্ড বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হতে থাকে। এরপর তিনি চাপে পড়ে তার অন্যায্য দাবী-দাওয়া থেকে সরে এসে আর ভুল হবেনা স্বীকারোক্তী দিয়ে দলিল লিখকদের আন্দোলন থামান। এর পর থেকে তিনি ব্যাক্তিগতভাবে দলিল লিখকদের হয়রানী শুরু করেন। তার অনিয়ম দূর্নিতি এখনও চলমান।

সংবাদ সম্মেলনে দলিল লিখকরা আন্দোলনের ৭ম দিনে দলিল লিখকদের সাথে সমযোতা বৈঠকের কথোপকথনের একটি অডিও টেপ এবং দলিল লিখকদের সাথে দলিল প্রতি ঘুষ নির্ধারনের একটি বৈঠকের অডিও টেপ প্রকাশ করেন।
সম্প্রতি তার স্বেচ্ছাচারীতায় হয়রানির শিকার সাবেক বিজিবি সদস্য, সাবেক জাতীয় বক্সিং চ্যাম্পিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদিন জানান, আমরা এই রোজার গত ৮মে আমার বয়ষ্ক মা সহ ১৫ জন মানুষ তিনটি হেবা ঘোষনা দলিল করতে তার অফিসে যাই। ২ টার ২ মিনিট পরে যাওয়াতে তিনি আমাদের দলিলগুলো করলেননা। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী সাড়ে তিনটা পর্যন্ত অফিস হলেও তিনি আমাদের ধাক্কা দিয়ে সড়িয়ে ২:২০মিনিটে ভবন ত্যাগ করেন। একজন সরকারী কর্মকর্তার মানুষের সাথে দূর্ব্যাবহার করা ঠিক না।
ভুক্তভোগী মো. নিলয় একটি দলিলের জন্য ১৫ হাজার টাকা ঘুষ দেয়ার কথা সাংবাদিকদের জানান।

সিনিয়র দলিল লিখক হাজী মনির উদ্দিন জানান, ওনার অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারীতার বিষয়ে কোন দলিল লিখক কোন প্রতিবাদ করলে তাকে হয়রানির শিকার হতে হয়। আমার ৪০ বছরের দলিল লিখার ইতিহাসে কোন সাব-রেজিষ্ট্রারকে এমন দেখিনি। কথায় কথায় তিনি সাসপেন্ড করেন। আমাদের সমিতির কোন কথাও কানে নেননা। সিনিয়র লেখকদের তিনি তুই তোকারি করে কথা বলেন। তার দূর্নীতি আমরা প্রমান করতে পারব।
সাব-রেজিষ্ট্রারের অনিয়ম দূর্নীতির শিকার দলিল লিখক ও সাধারণ জনগন সাংবাদিকদের মাধ্যমে ওনার বিচার এবং অপসারণ দাবী করেন।

পিবিএ/ডিএম/হক

আরও পড়ুন...